জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘুষের বদলে প্রশ্নকাণ্ডে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র। তবে মহুয়ার পাশেই দল তৃণমূল কংগ্রেস। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনকি, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্রর-ই টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথাতেই এদিন মিলল সেই ইঙ্গিত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্শিয়ংয়ে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "খুবই দুঃখজনক। মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। ভোটে তাঁকে পরাজিত করতে না পেরে, বিজেপি তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, ৫৫৭ পাতার রিপোর্ট পাঠিয়ে, আধঘণ্টার মধ্যে সবাই আলোচনা করে। বার বার করে সাংসদরা, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরাও বলেছেন যে আমাদের রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দাও। সেটা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকি মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগও দেওয়া হয়নি। এটা দেখে বোঝা যায়, রাজনৈতিকভাবে বিজেপি গণতন্ত্রের সঙ্গে লড়তে পারে না। ওদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য, একজন মহিলাকে, বিশেষ করে যিনি কিনা ইয়ং জেনারেশনের তাঁকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, যেভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁকে আমি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। দল সম্পূর্ণভাবে মহুয়া মৈত্রর পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা চেয়েছিলাম সুবিচার হোক। বিচার করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তুমি সিবিআই-ও করবে আবার ওদিকে এক্সপালশনও করবে। ক'মাস বাদে নির্বাচন? ২-৩ মাস বাদে। বড়জোর একটা সেশনেই যোগ দিতে পারত। সেই সুযোগটাও দিল না। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করে। আজ আমি সত্যিই দুঃখিত।" 


এরপরই সাংবাদিকদের মহুয়াকে লোকসভা ভোটে টিকিট দেওয়া বা প্রার্থী করার প্রশ্নে মমতা বলেন, 'না হওয়ার কী আছে! ওকে তো কৃষ্ণনগর জেলার সভাপতি করা হয়েছে। দল ওর পিছনে আছে। আর এটা তো ধ্বনি ভোটে হয়েছে। হাত তুলে ভোট । চেঁচিয়ে ভোট। কোনওরকম সুযোগ না দিয়ে। কোনও ভোট রেকর্ড হয়নি। গণতন্ত্রের বাইপাস সার্জারি করেছে বিজেপি!' মহুয়া যে ২০২৪ লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে ফের জিতবেন, জোরের সঙ্গে সেকথা বলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, "সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতা থেকে করা। বিজেপির দেউলিয়া রাজনীতির অঙ্গ। এথিক্স কমিটিকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো হলো। সংসদীয় রীতিনীতিকে চুড়মার করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। যাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাঁকে কোনও সুযোগ দেওয়া হল না। এটা বিজেপির শেষের শুরু। কৃষ্ণনগরের মানুষ আবার বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাবে। তৃণমূল মহুয়ার পাশে থাকছে।"


ওদিকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের পরও না দমে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন মহুয়া মৈত্র। সংসদের বাইরে সোনিয়া গান্ধী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অধীর চৌধুরী সহ 'ইন্ডিয়া' জোটের নেতৃত্বদের পাশে দাঁড়িয়ে মহুয়া হুংকার দেন, "২ জন নাগরিকের লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। আমার বিরুদ্ধে টাকা বা উপহার নেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। আমি নিশ্চিত, কালই বাড়িতে সিবিআই আসবে। আগামী ৬ মাস ধরে হেনস্থা করবে। আমার বয়স ৪৯ বছর, আরও ৩০ বছর লড়াই করব। আমি ফিরে আসব।"


আরও পড়ুন, Mahua Moitra Expelled: ঘুষের বদলে প্রশ্নকাণ্ডে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া!



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)