নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রের কাছে বকেয়া ৮৫ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের হাতে টাকা নেই। তা সত্ত্বেও একের পর এক কাজ করে চলেছেন। ৮ বছরে এমন কাজের নজির পৃথিবীর আর কোথাও দেখাতে পারবেন না বলে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত উন্নয়ন সত্ত্বেও যেভাবে তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে হালকা অভিমানও প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন,'আমাকে দুঃখ দিলে আমি অভিমানের করে সরে যেতে পারি।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ দিন ফের বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,'কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকা দেয় না। বঞ্চনা চলছে। আর লাঞ্ছনা চলছে।  ৮৫ হাজার কোটি টাকা পায় বাংলার সরকার। জিএসটি-র টাকাটা দিতে বলুন। এই টাকাটা এখান থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক কষ্ট করে সরকার চালাতে হচ্ছে।'


তা সত্ত্বেও সামাজিক প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। সে কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন,'বন্ধু কন্যাশ্রীতে কত টাকা লাগছে? একটু হিসেব আছে? হিসেব করবেন? ৭০ লক্ষ মেয়েদের স্কলারশিপ দিই। আড়াই কোটি সংখ্যালঘু স্কলারশিপ পায়।  ৭০ লক্ষ তপশিলি-আদিবাসী পায় স্কলারশিপ। ৭২ লক্ষ কৃষক পরিবার সাহায্য পেয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ পেনশন পায়।'


তিনি আরও বলেন,''টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে? বাসের ভাড়া বাড়বে না। বিদ্যুতের দাম বাড়বে না। খাবারের দাম বাড়বে না। সরকারকে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। বিনা পয়সায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, পড়াশুনো, জুতো, টেস্টপেপার, ছোটদের পোশাক, বিনা পয়সায় মিড ডে মিল, আইসিডিএস। টাকাটা আসবে কোথা থেকে? 


খানিকটা অভিমানের সুরেই তৃণমূল নেত্রী বলেন,'যতটুকু সম্ভব এখান থেকে ওখান থেকে করে যতটা পারি চেষ্টা করি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলে যাচ্ছি, এই কাজ আমার জায়গায় একজন করতে পারলে একদিনের মধ্যে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেব। একজনও যদি করে দেখাতে পারে! কাজেই সব কিছু করুন আমাকে দুঃখ দেবেন না। আমাকে দুঃখ দিলে আমি অভিমানের সঙ্গে সরে যেতে পারি। মনে হতে পারে, আমার থাকাই উচিত নয়, এরা তো চায়ই না। ৮ বছরে যা করেছি পৃথিবীর আর কোথাও দেখাতে পারবেন না। ১০ কোটির মধ্যে সাড়ে ৯ কোটি লোক সুবিধা পেয়েছে।' 


আরও পড়ুন- কখনও রামচিমটি, কখনও শ্যামচিমটি কখনও গোবর্ধনচিমটি: বনগাঁ থেকে মমতা