নিজস্ব প্রতিবেদন : ওরা সাধুবাবার পোশাক পরে আসছে। সাধুবাবার পোশাকে মাদুলি দিয়ে উগ্রপন্থার মন্ত্র ছড়াচ্ছে। ঠিক এই ভাষাতেই এদিন সতীঘাটে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপির 'চাল' বানচাল করতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন সবাইকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সতীঘাটে দাঁড়িয়ে মমতা এদিন বলেন, "ওরা সাধুবাবা। মাদুলি দিয়ে ধর্মীয় উগ্রপন্থার মন্ত্র ছড়াচ্ছে। এনজিও-র নামে বিজেপি মুম্বই, অসম থেকে উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের লোক আনছে। এরা সবার বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। বলছে কী লাগবে? আমরা মালদায় এরকম গ্রেফতার করেছি। এরকম কেউ প্যান, আধার কার্ড চাইলে দেবেন না। অসুবিধা বুঝলেই প্রশাসনকে বলুন। ওরা দেখবে। বাংলায় বিজেপিকে রক্তের খেলা করতে দেব না। জঙ্গলমহলে রক্তের রাজনীতি শুরু করেছে। তৃণমূল দুর্বল হলে, আবার মাওবাদীরা আসবে।"


প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল গণনা শুরু হতেই দেখা যায় ঝাড়ু ঝড়ে কুপোকাৎ পদ্মশিবির। রাজধানীতে বিজেপির পরাজয়ের ছবি যত স্পষ্ট হয়েছে, তত-ই খুশির হাওয়া উঠেছে তৃণমূল শিবিরে। এদিন সতীঘাটে মমতার জনসভা ও কর্মীসভাতে যার ইঙ্গিত মেলে। একদিকে যেমন জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন, তেমনই কর্মীসভায় দলের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দেন।


দলকে বার্তা
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশের তৃণমূল নেত্রী বলেন, "আমি সেই কর্মীকে ভালোবাসি, যে মাটির ঘরে থাকে। আমি তাঁদের ভালোবাসি না, যাঁরা নিজেদের কথা ভাবেন। তাঁরাও আমার নজরে থাকছে। যে বুথ কর্মী সাইকেল করে বুথে আসেন, ডোর টু ডোর করেন আমি তাঁকে ভালোবাসি।" কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও নির্দেশ দেন, "বিজেপির অপপ্রচার ভয় পাবেন না। বিজেপি যেখানে প্রচার করবে, পরের দিন-ই সেখানে মাইক লাগিয়ে প্রচার করবেন। একটা ডায়েরি রাখুন। তাতে কী কী কাজ হয়েছে, লিখে রাখুন। তা দেখে দেখে লোককে বলুন।"


আরও পড়ুন, মমতার ফর্মুলাতেই নাকি দিল্লি বিজয় আপের! নেত্রীর হুঙ্কার, 'BJP-র শেষ কলস ডুববে একুশে'


আরও পড়ুন, পুলিসের মারে প্রৌঢ়ের মৃত্যু, সিঁথিকাণ্ডে সার্জেন্ট সহ ২ ASI-এর বিরুদ্ধে শুরু বিভাগীয় তদন্ত


কোনওরকম গোষ্ঠীকোন্দল যে তিনি বরদাস্ত করবেন না, এদিনের কর্মীসভায় আরও একবার স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, "শুভাশিষ বটব্যালের অধীনে কাজ করতে হবে।  যে করবেন না, তাঁর দল করার দরকার নেই।" পাশাপাশি, দিনের যেকোনও সময় মানুষের ফোন ধরার জন্য নেতা, কর্মীদের নির্দেশ দেন মমতা। বলেন, "আমি যদি মাঝরাতে ফোন দেখতে পারি, আপনারা কেন পারবেন না।"