জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলার জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণার পাশাপাশি কড়া ভাষায় নিশান করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের অফিসে আয়কর হানা থেকে শুরু করে রাজ্য়ের একশো দিনের টাকা আটকে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দিল্লিতে রেকর্ড ভাঙার খেলা শীতের, সোমবার রাজধানীর ঘুম ভাঙল ১.৪ ডিগ্রিতে


মুর্শিদাবাদ আমাদের অনেক দিয়েছে। দেখবেন, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে আমরা এই জেলাটাকে কীভাবে সাজিয়ে দিই। মানুষ যখন দেয় তখন তা ফিরিয়ে দিতে হয়ে। আমরা মন রয়েছে। কিন্তু আমার সামর্থ নেই।


কেন্দ্র সরকার একশো দিনের কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি। আমাদের এখান থেকে ট্যাক্স তোলা হয়। সেই টাকা কেন্দ্রে জমা পড়ে। তারপরে সেই টাকা ভাগ রাজ্যের ভাগে যা পড়ে তা দেওয়া হয়। কেউ যদি মনে করে থাকে ওই টাকা বিজেপির জমিদারি তাহলে তাহলে ভুল করছেন। মানুষের টাকা মেরে বাংলাকে ভাতে মেরে, বিরোধী দল যেখানে রয়েছে সেই সব রাজ্যগুলিকে ভাতে মেরে এই সরকার চলতে পারে না। একশো দিনের টাকা পাওয়ার পর কেন সাধারণ মানুষ টাকা পাবে না। ৬ হাজার কোটি টাকা সাধারণ মানুষ পায়। বাংলাকে ভাতে মারতে গিয়ে আমার বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারা হচ্ছে। ক্ষমতা দেখাচ্ছো! এই ক্ষমতা আছে বলে তুমি হিরো। কাল ক্ষমতায় না থাকলে তুমি জিরো। বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা? তাহলে জেনে রাখুন, চাল আমার জন্মাই, আলু আমরা জন্মাই, সবজি আমাদের এখানে হয়। আমাদের ভাতে মারার ক্ষমতা তোমরা কেন সারা পৃথিবী এক হলেও সম্ভব নয়।


আজ প্রায় ৭০০ কোটি টাকারও বেশি প্রকল্প মুর্শিদিবাদ জেলাকে দিয়ে গেলাম। পাশাপাশি ৭৯ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্য়াস করা হল। 


কেন্দ্র কী ভাবছে? বাংলার বাড়ি দেবে না? আমরা ১৭ লক্ষ নাম বাদ দিয়েছি। বিজেপি লোকজন এদের অনেকের নাম তুলেছিলেন। জাকির একজন বিড়ি শিল্পপতি। দোষ থাকলে তুমি নিশ্চই আইনত ব্যবস্থা করবে। কিন্তু জাকির শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস করে বলে তাকে হেনস্থা করা হবে! তার যে ২০ হাজার বিড়ি শ্রমিক রয়েছে সেটা দেখো না! তাদের মাইনে কি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেবে? কটা বিড়ি শ্রমিকের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে? ও দেখে নেবে বিষয়টা। ওকে তো প্রাণে মারারও চেষ্টা হয়েছিল। আমরা বক্তব্য নিজেদের বাড়িটা আগে সার্চ করান। তারপর তৃণমূলের বাড়ি সার্চ করবেন।


বঙ্গভবন থেকে সব সিসিটিভি তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে গুজরাট পুলিস। এসব চালাকি হচ্ছে? মনে রাখবেন আমি বুলডোজারের পক্ষে নই। কিন্তু গণতন্ত্রে যারা বুলডোজার চালায় তাদের ক্লোজার হবে।  


বাংলায় রোজ সেন্ট্রাল টিম পাঠাচ্ছে। দিল্লিতে গাড়িতে একজন মেয়েকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সেন্চ্রাল টিম পাঠাচ্ছো না তো! এনআরসি নিয়ে অসমে লাখ লাখ মানুষকে বিপদে ফেলল সেখানে সেন্ট্রাল টিম যায় না কেন? আর এখানে একটা বিজেপিকে যদি উই পোকাতেও কামড়ায় তাহলেও নাকি সেন্ট্রাল টিম আসে। এখানে একটা চকলেট বোম ফাটলেও এনআইএ আসে। দেখেছেন কীভাবে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে? মনে রাখবেন বদলা নেব না কিন্তু বদল আমি করব।


এরা বলছে চাকরি দাও। যখন চাকরি দিচ্ছি তখন আটকে দিচ্ছে এরা। গোটা দেশে চাকরিপ্রার্থীদের পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমেছে বিজেপির আমলে। আর বাংলায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। 


গঙ্গাসাগরে মেলা চলছে। সত্তর লাখ মানুষ এসেছে। সারা বছর দেড় কোটি মানুষ গঙ্গাসাগরে আসে। দুর্ভাগ্য হল গঙ্গাসাগরকে কেন্দ্র একটা পয়সাও দেয় না। যা করেছি তা নিজেরাই করেছি। 


টাকা দেবে না আর এখানে বিজেপিকে তুষ্ট করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠাবে! ওদের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দিন। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)