জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হচ্ছে ২৯ জানুয়ারি। কোচবিহার শিলিগুড়ি রায়গঞ্জ সফর শেষ করে তিনি ৩০ তারিখ এসে পৌঁছবেন বালুরঘাটে। সড়কপথে রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাটে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিনই বিকেলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের হাতে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেবেন তিনি। এছাড়াও রাত্রি বাস করার কথা রয়েছে বালুরঘাটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সরকারি চিঠি হাতে পেতেই বালুরঘাট শহর জুড়ে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকা। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর জেলা সদর বালুরঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মাঝে অবশ্য একাধিকবার রাজনৈতিক সভা করেছেন। গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরে প্রশাসনিক সভাও করে গিয়েছেন। কিন্তু জেলা সদর বালুরঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন প্রায় এক যুগ বাদে। প্রস্তাবিত এই সভাকে ঘিরেই সাজো সাজো রব সর্বত্র।


আরও পড়ুন: Snowfall in Darjeeling: ফের তুষারপাত, প্রজাতন্ত্র দিবসে সাদা চাদরে ঢাকল দার্জিলিং!


জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই বেশ কিছু প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করতে পারেন তিনি। বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবহন সংক্রান্ত একাধিক নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।


জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেডিকেল কলেজ। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে আশায় বুক বাঁধছে এখানকার মানুষ। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর ও প্রশাসনিক বৈঠক জেলাবাসীর কাছে নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতারা।


আরও পড়ুন: Padma Awardee Nepal Sutradhar: মরণোত্তর পদ্মসম্মান চড়িদার ছৌ-শিল্পী নেপাল সূত্রধরকে...


দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তথা বালুরঘাটের বাসিন্দা সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং তার নেতৃত্বে আগামী লোকসভা নির্বাচন লড়বে বিজেপি। এমনকি বালুরঘাট লোকসভা আসনে প্রার্থীও হবেন তিনি যে কারণে বালুরঘাট আসন রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির এই আসনকে পাখির চোখ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।


পঞ্চায়েত ভোটের পর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারকে পরিবর্তন করে বিপ্লব মিত্রর অনুগামী সুভাষ ভাওয়ালকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। জেলা পরিষদ আসন থেকে নির্বাচিত হলেও সেই অর্থে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারকে কোনও পদ দেওয়া হয়নি যার ফলে নতুন পুরাতন দ্বন্দ্ব জেলায় থেকেই গিয়েছে। এই সমস্ত বিভিন্ন কারণে মুখ্যমন্ত্রীর তথা তৃণমূল নেত্রীর জেলায় রাত্রিবাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)