Padma Awardee Nepal Sutradhar: মরণোত্তর পদ্মসম্মান চড়িদার ছৌ-শিল্পী নেপাল সূত্রধরকে...

Padma Awardee Nepal Sutradhar: 'বাবা বেঁচে থাকলে বেশি আনন্দ পেতাম।' বাবার পদ্মসম্মানপ্রাপ্তির খবরে এইটুকুই প্রাথমিক ভাবে বলতে পারলেন মৃত ছৌশিল্পী নেপাল সূত্রধরের পুত্র।

Updated By: Jan 26, 2024, 05:34 PM IST
Padma Awardee Nepal Sutradhar: মরণোত্তর পদ্মসম্মান চড়িদার ছৌ-শিল্পী নেপাল সূত্রধরকে...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির চড়িদা গ্রামের বাসিন্দা নেপাল সূত্রধর পেশায় মুখোশশিল্পী। পাশাপাশি ছৌ-শিল্পীও ছিলেন তিনি। এবার 'পদ্মশ্রী' পুরস্কার পাচ্ছেন। মুখোশশিল্পী হিসেবেই মরণোত্তর এই পুরস্কার পাচ্ছেন নেপাল সূত্রধর।

আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: দার্জিলিংয়ে তুষারপাত! কুয়াশায় মোড়া থাকবে গোটা রাজ্য?

গত বছরের নভেম্বর মাসে নেপাল সূত্রধরের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বৎসর। তাঁর ছেলে কাঞ্চন সূত্রধর বলেন, বাবা বেঁচে থাকলে আজ আমরা বেশি আনন্দ পেতাম। তাঁর পরিবারের সূত্রেই জানা গেল, নেপাল সূত্রধর ১৫ বছর বয়স থেকেই মুখোশ তৈরি করতেন। মুখোশশিল্পী ছাড়াও তিনি একজন ছৌ-নৃত্যশিল্পীও ছিলেন। ছৌ-নৃত্যশিল্পী হিসেবে পাঁচবারেরও বেশি বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকা, অকল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে ছৌ-কর্মশালাতে যোগও দিয়েছিলেন তিনি। কর্মময়, শিল্পীজীবন কেটেছে তাঁর। তাঁর মত্যু তাঁর পরিবারের কাছে বড় ক্ষতি সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর শিল্পীসম্প্রদায়ের কাছেও বড় ক্ষতি।

এদিকে 'পদ্মশ্রী' পাচ্ছেন পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানার সিন্দ্রি গ্রামের বাসিন্দা দুখু মাঝি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে আত্মোপলদ্ধি ঘটেছিল তাঁর। অনুভব করেছিলেন, গাছ মানুষের জীবনে কতটা উপকারী। তাঁর বাকি জীবনটা সেই অনুভবকে সত্য করে তোলার কঠিন লড়াই। প্রথম কৈশোর থেকেই তিনি মাঠে-ঘাটে-শ্মশানে গাছ লাগাতে শুরু করেছিলেন। যেখানেই ফাঁকা জায়গা দেখতেন, সেখানেই চারাগাছ পুঁতে পরিচর্যা করতেন। আজ তাঁর ৮০ বছর বয়স। লেখাপড়া জানেন না। কিন্তু লেখাপড়া করে যা শেখা যায়, না-করেও গাছপালা পরিবেশপ্রকৃতি নিয়ে তিনি তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু শিখে নিয়েছেন। মানবজীবনে গাছের প্রয়োজনীয়তা বোঝেন। পরিবেশে অক্সিজেনের জন্য গাছের প্রয়োজন বোঝেন। প্রকৃতি ধ্বংস করা উচিত নয় বোঝেন। সবুজকে বাঁচিয়ে রাখলে সবুজই মানুষকে বাঁচাবে, বোঝেন। এই সব অনুভূতিগুলি, সত্যগুলি নিজের জীবনে অনুশীলন করারই আর এক নাম দুখু মাঝি। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি তাঁর কর্তব্য থেকে এতটুকু সরেননি। এখনও একইভাবে গাছ লাগিয়ে চলেছেন অযোধ্যা পাহাড়-লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায়। বর্তমানে তিনি ৫ হাজারেরও বেশি গাছের অভিভাবক! দুখু মাঝির জীবনের লক্ষ্য প্রকৃতিকে সবুজ করে তোলা।

আরও পড়ুন: Padma Awardee Dukhu Majhi: ৭০ বছর ধরে ৫০০০ চারাগাছ রোপণ! দুখী দুখুর বনসৃজন এনে দিল পদ্মসম্মান...

এই ভূমিকা পালন করার স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা থেকে নানা উপহারও পেয়েছেন দুখু। শুধু নিজে গাছ লাগানো নয়, অন্যদের গাছ লাগানোয় উৎসাহিতও করেন দুখু মাঝি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.