নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে মতুয়াদের মন জিততে ফের ঠাকুরনগর যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৫ নভেম্বর বড়মা বীণাপানি দেবীর জন্মশতবর্ষের সূচনা অনুষ্ঠানে ঠাকুরবাড়ি যাবেন তৃণমূলনেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের মুখে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই মমতার এই সফর। রাজ্যের ১০টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্ণায়ক ভূমিকা নেন মতুয়ারা। তার ওপর সাম্প্রতিককালে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসিয়েছে বিজেপি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিন কয়েক আগেই উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত গোপালনগরে বিশাল জনসভা করেছে বিজেপি। জনসভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাছাড়া মতুয়া ঠাকুরবাড়ির ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ২০১৫ সালের লোকসভা উপনির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর থেকেই এলাকায় প্রভাব বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। মোকাবিলায় ইতিমধ্যে তত্পর হয়েছে তৃণমূল। 


ইসলামপুরের ছাত্র খুনের তদন্তভার সিআইডি-কে দিল রাজ্য সরকার


তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ অক্টোবর বড়মার জন্মদিনে শুরু হবে তাঁর জন্মশতবর্ষ পালন উত্সব। সেই দিন ঠাকুরনগরে গিয়ে বড়মাকে সংবর্ধনা জানাবেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ১৫ অক্টোবর ঠাকুরনগরে যাবেন তৃণমূলনেত্রী নিজে। সেখানে বড়মাকে বাড়ি থেকে নিয়ে মঞ্চে যাবেন মমতা। পাশাপাশি মতুয়াদের উদ্দেশে বক্তব্যও রাখবেন তিনি। 


পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫৭টি আসনে হার জিতের অংক ঠিক করেন মতুয়ারা। ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০টিতে মতুয়ারা নির্ণায়ক। তাই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক বরাবরই যত্নে রাখেন মমতা। শেষ বার ৪ বছর আগে ২০১৪ সালে ঠাকুরনগর এসেছিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়মার 'আশীর্বাদ' নিয়েছিলেন মথা পেতে। তার পর অবশ্য তাঁকে আর দেখা যায়নি মতুয়াভূমে। 


সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন


তবে বিরোধীনেত্রী থাকার সময় অবশ্য ছবিটা ছিল অন্যরকম। সিঙুর আন্দোলনের পর থেকে মতুয়াদের মন জিততে বার বার ঠাকুরনগর যেতেন মমতা। ব্যস্ততা বাড়ায় সেই সুযোগ আর হয়ে ওঠে না এখন। তবে বিজেপির বাড় রুখতে নভেম্বরে ফের মতুয়াভূমে দেখা যাবে তাঁকে।