সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ড ঘটে। বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৭৩ জনের।
![সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/09/28/143988-143877-sangrampur.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন দিলেন বিচারক। একইসঙ্গে দোষীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক। রায় শোনার পরই আদালত চত্বরে ভেঙে পড়েন দোষীদের আত্মীয়রা। তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের বাড়ির লোককে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, 'কুয়োর ভিতর ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে চাপা দিয়েছি স্ত্রীর দেহ!'
২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ড ঘটে। বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৭৩ জনের। এই ঘটনায় মগরাহাট এবং উস্তি থানাতে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্বভার যায় সিআইডি-র হাতে। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলে মামলা। অতঃপর গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় দেন আলিপুর জেলা আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা বিচারক। বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা সহ ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। বাকি ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, বাবার 'পরকীয়ার রায়' পাল্টে দিলেন বিচারপতি ছেলে
এদিন ছিল সাজা ঘোষণা। প্রথম থেকেই দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার বিষয়ে সওয়াল করে আসছিলেন সরকারি আইনজীবীরা। এই মামলায় সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে যাবজ্জীবন। আর সর্বনিম্ন সাজা ১০ বছরের কারাবাস। যদিও, এদিনও সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন খোঁড়া বাদশা। বলেন, "ভালো মানুষকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হচ্ছে।"