নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গাপুজোর ভাসান ও ছটপুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পালটা দিলেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে এক 'চায়ে পে চর্চা' অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'বাংলায় বিসর্জন কে বন্ধ করেছে সবাই জানে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে দিলীপবাবু বলেন, 'বাংলায় কে বিসর্জন বন্ধ করেছিল সবাই জানে। বিজেপি আদালতে গিয়ে বিসর্জনের অনুমতি এনেছিল। উনি যে পাপগুলো এতদিন করে এসেছেন তার দায় এখন আমাদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। আমরা চাই এখনে দুর্গাপুজো, ছটপুজো, কালীপুজোর সঙ্গে ইদ-মহরমও হোক। সবার নিজের উৎসব পালনের অধিকার আছে। সরকারের কাজ নাগরিককে নিরাপত্তা দেওয়া। সেটা না করে উনি আটকাচ্ছেন। এখন মানুষ যখন বিরুদ্ধে চলে গেছে তখন উলটো গাইছেন।' 


LIVE TV


 



বলে রাখি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পোস্তায় এক জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিসর্জন নিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশ অনুসারে গঙ্গায় বিসর্জন রকরা যাবে না বলে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আমি গ্রিন বেঞ্চের রায়কে সম্মান করি। কিন্তু কেন্দ্রের উচিত ছিল এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো।' মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'আমরা বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে নদী পরিষ্কার করে দিই। তার পরও আমাদের বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন? গঙ্গাতেই ছট পুজো হয়। সেখানে যদি ১০ লক্ষ মানুষ জড়ো হয় আমি কি তাদের লক্ষ্য করতে গুলি চালাতে বলব? তার থেকে ভাল ওরা আমাকে জেলে ভরুক।' 


গভীর রাতে দিল্লি বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত ব্যাগে RDX-আতঙ্ক


রাজ্যে বিজেপির উত্থানের সঙ্গেই অন্য প্রাসঙ্গিকতা পেয়েছে দুর্গাপুজো। আপাত অরাজনৈতিক এই উৎসবে লেগেছে রাজনীতির রং। পালটা বিজেপিকে ভুয়ো হিন্দুপ্রেমী প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল। যার মধ্যে উহ্যই থেকে যাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি।