প্রতীচীতে মমতা, অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দিলেন জমির নথি, ঘোষণা Z+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তার
জমির নথি দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, বিশ্বভারতীর দাবি ভুল। তোপ দাগেন, এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না। হুঁশিয়ারি দেন, এরপর আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অর্মত্য সেনের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী। প্রতীচীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর জমি অধিগ্রহণ বিতর্কের মধ্যেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের হাতে বাড়ির জমির মাপজোঁক সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সকালেই বোলপুরে বিএলআরও অফিসে যান মমতা।
জমির নথি দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, বিশ্বভারতীর দাবি ভুল। তোপ দাগেন, এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না। হুঁশিয়ারি দেন, এরপর আমরা আইনত ব্যবস্থা নেব। কড়া ভাষায় অভিযোগ করেন, মিথ্যে কথা বলছেন উপচার্য। বলেন, জমির নথি নিয়ে এসেছি, এটাই প্রামাণ্য নথি। আইনত কী করব, সেটা পরে জানাব। মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে আসার পর তাঁকে চা-পানের অনুরোধ করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। প্রতীচীতে মমতাকে সিঙারা, চা, বিস্কুট খেতে দেওয়া হয়। অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি নিয়ে আলোচনা করেন মমতা। প্রতীচীতে বসেই অমর্ত্য সেনকে জেড প্লাস ক্যাটেগরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে অমর্ত্য সেনের নিরাপত্তায় বাড়ির বাইরে ক্যাম্প করার কথাও বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তোপ দেগেছেন, 'অমর্ত্য সেন নোবেল লরিয়েট নয়। উনি নোবেল প্রাইজ পাননি। ইকোনমিকসে যাঁরা, তাঁরা নোবেল মেমোরিয়াল প্রাইজ। বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রয়েছেন অমর্ত্য সেন। আদালতে যাচ্ছেন না, গেলেই হেরে যাবেন অমর্ত্য সেন। আমাদের সঙ্গে বসে বিষয়টা মিটিয়ে নিক অমর্ত্য সেন।' যার জবাবে পালটা হেসে অমর্ত্য সেনের মন্তব্য ছিল, 'আমার কিছু বলার নেই। এমনটা ভাবলে উনার চিন্তাশক্তি নিয়ে ভাবার কারণ আছে।'
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনে একটি জমির কিছু অংশ ছেড়ে দিতে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের লেখা ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে অমর্ত্য সেন জোর করে ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন। ওই ১৩ ডেসিমেল জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নোবেল বিজয়ীর বাবা আশুতোষ সেন ১৯৪৩ সালে ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ নিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র মহুয়া বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অমর্ত্য সেনের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের জমি অবৈধভাবে দখলে রাখার অভিযোগ করেন। অমর্ত্য সেন তখনই জানিয়েছিলেন জমির প্লটটি দীর্ঘমেয়াদী লিজে রয়েছে। অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, বাড়ির কিছুটা অংশ বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেওয়া। বাকি অংশ কেনা হয়েছে। এদিন অর্মত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে জমির নথি নোবেলজয়ীর হাতে তুলে দিয়ে মমতা জানান, বিশ্বভারতীর দাবি ভুল। প্রতীচীর জায়গা অধিগ্রহণ অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।
আরও পড়ুন, রাজ্য সরকারকে মিড-ডে মিলে ভালো সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় দলের
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)