জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে চোর স্লোগান দেওয়া শুরু করেছিল বিজেপি। অনেক জায়গায় এরকম স্লোগান উঠেছে। শান্তভাবে সেসব মোকাবিলা করেছেন মমতা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার যা হল তাতে অনেক পরে হলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন উত্তরবঙ্গের চালসায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় যাচ্ছিল। সেইসময় সেখানে সভা ছিল বিজেপির। সেই সভা থেকে মমতা উদ্দেশ্য চোর চোর স্লোগান তোলেন বিজেপি  কর্মী-সমর্থকরা।  এতে তৃণমূল নেত্রী কতটা রেগে গিয়েছিলেন তার বোঝা গেল মঙ্গলবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'নিশীথ জিতলে কোচবিহারে মাছ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কারণ তাঁর নেতা বলেছে'


বিধানসভার চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গার সভা থেকেই মমতার উদ্দেশ্যে ওই স্লোগান দেওয়া হয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন। হাসিমুখে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বেরিয়ে যান। তবে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভায় সেই চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে জলপাইগুড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার গাড়ি দেখে ওরা চোর বলেছে। সেদিন ওদের জিভ টেনে নিতে পারতাম। ভোট বলে কিছু বলিনি। আমি নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ নই। ওরা বলেন চুন চুনকে জেলে পাঠাব। উল্টো ঝুলিয়ে সিধে করে দেব। ওই ধরনের কথা আমি বলব না। জিভ টেনে নিতে পারলেও সেটা করব না। কারও পিত্দেবের টাকা এক কাপ চাও খাই নি। চাইলে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন, পেনশন নিতে পারতাম। নিই না।  


মমতাকে লক্ষ্য করে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে শিক্ষা-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ শক্তিশালী করছে। পাল্টা নিশানা করেছে তৃণমূলও। কয়েক দিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে বলেছেন, যারা মাছ খায় তারা হিন্দু বিরোধী। তারা মোঘল। আপনারা একটু হাত তুলে বলুন তো কারা মাছ খান? আমিও মাছ খেতে ভালোবাসি। আপানাদের সবাইকে দেশ বিরোধী বলেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন। কেন? কারণ আপনারা মাছ খান। এই নিশীথ প্রামাণিক যদি জেতে তাহলে প্রথম কাজটা করবে সেটা হল কোচবিহারের মাছ খাওয়া বন্ধ করবে। কারণ তার নেতা বলছে, যে মাছ খাচ্ছে সে দেশ বিরোধী। সে দেশের শত্রু। তাদের মোঘলদের সঙ্গে তুলনা করছে। আমি তো সকাল বিকেল মাছ খাই। আর আমাদের দুর্গাপুজো কালী পুজোতে মাছ মাংস ছাড়া মায়ের ভোগ হয় না। মোদীজিকে বলব বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি সভ্যতা আপনি জানেন না।


অন্যদিকে, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভায় বলেন, যাদের টাকা আছে। ভয় পাচ্ছে ইডি সিবিআই চলে আসবে তারাই বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। আসলে চোরডাকাতদের বিজেপি ছাড়া গতি নেই। ওরা পকেচমারের দল। বিজেপি জেশটাকে বিক্রি করে দিতেই। দেশকে বাঁচান। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)