নিজস্ব প্রতিবেদন: একের পর এক অভিযোগ পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে ত্রস্ত ছিল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের বৈঠক। কিন্তু ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান বলতে উঠতেই বদলে গেল পরিবেশ। মুখ্যমন্ত্রীর নজর চলে গেল চেয়ারম্য়ান সুরেশ আগরওয়ালের ভুঁড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চেয়ারম্যান তাঁর পুরসভার কথা শুরু করতেই মমতা বলে ওঠেন, 'আপনার ভুঁড়ি যেভাবে বাড়ছে তাতে যে কোনও দিন আপনি ব্লক করে যাবেন মনে হচ্ছে। হাঁটাচলা ঠিকমতো করছেন তো!' 


মুখ্যমন্ত্রীর ওই কথা শুনে সুরেশ আগরওয়াল বলেন, 'ম্যাডাম না তো আমার সুগার রয়েছে, না তো প্রসার রয়েছে।' চেয়ারম্যানকে থামিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, 'নিশ্চয় লিভারের কোনও সমস্যা রয়েছে।' মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অস্বীকার করেন সুরেশ। পাল্টা মমতা বলেন, 'ডেফিনিটলি কিছু সমস্য়া রয়েছে। এতবড় মধ্যপ্রদেশ কী করে হল? হাঁটাহাঁটি করেন?'


সুরেশ বলেন, 'হাঁটাহাঁটি করি। রোজ ব্যায়াম করি। তেলেভাজা-পকোড়া প্রচুর খাই। ছোট থেকে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।' ওই কথা শুনে মমতা বলেন, 'এরকম করলে ভুঁড়ি কোনও দিনই কমবে না। পাল্টা সুরেশ বলেন, 'রোজ দেড় ঘণ্টা ব্যায়াম করি। মমতা জানতে চান কী কী ব্যায়াম করেন দেখান তো দেখি। ও প্রাণায়াম করেন? ওতে তো ভুঁড়ি কমবে না। এই যে কপালভাতি দেখাচ্ছেন সেটা কতবার করেন?'


ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান দাবি করেন তিনি হাজারবার কপালভাতি করেন। পাল্টা মমতা বলেন, 'এখানে স্টেজে এসে আপনি যদি হাজারবার কপালভাতি করে দেখাতে পারেন তাহলে আমি আপানাকে দশ হাজার টাকা দেব।' বিপাকে পড়ে সুরেশ বলেন, 'এখন তো করা যাবে না। ওটা করতে হয় বিকেল পাঁচটার পরে।' মমতা বলেন, 'কিছুতেই পারবেন না। এক হাজার বার কপালভাতি করলে আপনার ভুঁড়ি এই জায়গা থাকতে না। আপনি শুধু পেট নাচান। কোন খান দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়তে হয়ে জানেন তো!। '


আরও পড়ুন-'আমার দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম', ডিএম-র কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)