`সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, ছাড়া হবে না`, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
`বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এদিনও সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। গতকাল হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার পর আজ সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘোজাজাঙা সীমান্ত এলাকায়, হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ডোমজুড়, সলপ সহ বীরভূমের মুরারই প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকায়। বিক্ষোভের পাশাপাশি ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে একের পর এক সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ফের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখিত বিবৃতির পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ভিডিয়ো বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, "গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" রাজ্য পুলিসের তরফেও টুইট করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই আইন পাস হওয়ার আগে থেকেই বিক্ষোভের আগুন ছড়ায় অসম, ত্রিপুরায়। আইন পাস হওয়ার পর সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়েছে বাংলাতেও। বিক্ষোভের জেরে ইতিমধ্যেই হাওড়া-শিয়ালদা শাখায় বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবা। হাওড়া-খড়গপুর শাখায় বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ মাঝ রাস্তাতেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।