কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের মদত না থাকলে বেআইনি বালি খাদান চলছে কী করে? প্রশ্ন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন দুই বর্ধমানের জেলাশাসক ও পুলিস কর্তারা। বেআইনি খাদানে জড়িত থাকলে সঙ্গে সঙ্গে থানার আইসি-কে
সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা। দুই বর্ধমানেই এর অন্যতম বড় কারণ বেআইনি বালি খাদান। কোথাও কোথাও খাদান নিলাম বাকি থেকে যাওয়ায় চলছে বেআইনি বালি তোলা। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে পুলিস
প্রশাসনকে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ''সরকারের আয় হচ্ছে না। কিছু লোক করে খাচ্ছে। বদনাম হচ্ছে সরকারের। তাড়াতাড়ি দরপত্র ডাকো। সিন্ডিকেট করে দরপত্র রোখার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিস যদি সক্রিয় হয়, বাঁদরামো বন্ধ হবে''।      


কোথাও আবার বালি তোলার জন্য চিহ্নিত নয়, এমন জায়গা থেকেও উঠে যাচ্ছে বালি। তৃণমূলের অন্দরের খবর, নানা দলের লোকেরাই বেআইনি খাদানে হাত বাড়াচ্ছে বলে নেত্রীর কাছে খবর এসেছে। অবৈধ খাদান নিয়ে এদিন দুই বর্ধমানের জেলাশাসক, পুলিস
সুপার ও পুলিস কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ''পূর্ব বর্ধমানে অবৈধভাবে বেশি বালি তোলা হয়। কিছু লোকের পকেট ভরে, মাফিয়াগিরি করে। সরকারের পকেটে যায় না। কোনও আইসি উত্সাহ দিলে বদলি করে দিন। কোল মাফিয়ারা এখান থেকে দিল্লি পর্যন্ত টাকা পাঠায়। কোনও কথা শুনতে চাই না। অ্যাকশন চাই''। নিলাম করা না গেলে চিহ্নিত বালি খাদানগুলিও বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- বিজেপি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী দল নয়, রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চায়: দেব