নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটবঙ্গে রাজ্যে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ (second wave of Covid-19)। করোনা দাপটে ফের বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। এই মুহূর্তে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ছুঁইছুঁই, কলকাতায় ২ হাজার! উদ্বেজনক এই পরিস্থিতি কপালে ভাঁজ ফেলেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee)। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে মমতা দু'পাতার চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ( PM Modi)। মূলত মমতা কেন্দ্রের থেকে করোনা টিকা, অত্য়াবশ্যকীয় ওষুধ ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন চেয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা তাঁর চিঠিতে রাজ্যের ও কলকাতার সাম্প্রতিক করোনা চিত্র তুলে ধরেছেন কেন্দ্রের কাছে। তিনি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কেন্দ্রের কাছে অনুমোদন চেয়েছিলেন যে, রাজ্য নিজেদের তহবিল থেকেই বিনা পয়সায় সকলকে করোনা টিকা দিতে চায়, তার জন্য ভারত সরকারের থেকে করোনা টিকা কেনার অনুমোদন তিনি পাননি। পাশাপাশি মমতা বিজেপি-র নাম না নিয়েই, তোপ দেখেছেন পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ভোট প্রচারে রাজ্যে বহু সংখ্যক বহিরাগতরা এসেছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলার জন্য আমাদের নির্দিষ্ট ভাবে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন।"


মমতা বলেছেন যে, করোনা টিকাকরণে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পারফরম্য়ান্স দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা। এই মুহূর্তে ২.৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য ৫.৪ কোটি ডোজ দেওয়ার জন্য় প্রয়োজন আছে। সবার আগে রাজ্যের প্রয়োজন করোনা টিকা। কেন্দ্রীয় সরকারের অনিয়মিত সরবরাহের জন্যই রাজ্য ভুগছে বলেও চিঠিতে সাফ লিখেছেন মমতা। এরপরেই মমতা জোর দিয়েছেন রেমডিসিভির (Remdesivir) ও টোকিলিজুমাব Tocilizumab (Actemra) এর মতো প্রয়োজনীয় ওষুধের ওপর। মমতা চিঠিতে লিখেছেন যে, মহামারি ঠেকাতে রাজ্যে প্রতিদিন ৬০০০ শিশি রেমডিসিভির ও ১০০০ শিশি টোকিলিজুমাব প্রয়োজন। এই মুহূর্তে রাজ্যের পক্ষে প্রতিদিনি ১০০০ শিশি করে রেমডিসিভির দেওয়া সম্ভব। কিন্তু টোকিলিজুমাবের সরবরাহ নেই। মমতার তৃতীয় চাহিদা অক্সিজেন। তিনি বলছেন, যদিও সেইল (SAIL) অক্সিজেনের জোগান দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রকে নিশ্চিত করতে হবে যেন সরবরাহে কোনও ঘাটতি না ঘটে।