নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি খাস জমিতে বসবাসকারী উদ্বাস্তুরা এবার জমির মালিকানা পেতে চলেছে। গোটা রাজ্যেই বলবত্ হবে এই নিয়ম। হবিবপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ দিনের জন্য নদীয়া জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন নদীয়ার হবিবপুরের ছাতিম তলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই তিনি ঘোষণা করেন, গোটা রাজ্যে সরকারি খাস জমিতে বসবাসকারী উদ্বাস্তুরা এবার জমির মালিকানা পাবে। এরফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, এতো সবে শুরু, সৌমিত্র খানের দলবদল নিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ


যদিও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে পুরোটাই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭ বছর সময় লাগল এই সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু এভাবে তিনি হিন্দু বিরোধী পাপ ধুয়ে ফেলতে পারবেন না।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জব কার্ড যাদের আছে একমাত্র তাঁরাই যেন ১০০ দিনের কাজ পায়, তা দেখতে হবে। কড়া নজর রাখতে হবে, ফড়েরা যেন ১০০ দিনের কাজে না ঢুকতে পারে। পাশাপাশি, বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানের মধ্যে গন্ডগোল মেটানোরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন অ্যাপও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অ্যাপ-এর মাধ্যমে কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে কত রক্ত আছে, তা সাধারণ মানুষ জানতে পারবেন ।


আরও পড়ুন, গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেম দশম শ্রেণির ছাত্রীর, প্রেমিক বাড়িতে এসে জানাল 'বিপদ ঘটে গেছে'!


হবিবপুরে সভা সেরে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। পঞ্চায়েত ভোটে নদীয়া জেলায় ভালো ফল করেছে দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে চাঙ্গা করতেই তাই কড়া নজর দলনেত্রীর।