নিজস্ব প্রতিবেদন: বামেদের ধর্মঘটের আগে মুখ্যমন্ত্রী যতই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করুন, মানতে রাজি নয় কর্মী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, বৃহস্পতিবার ইলামবাজারে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বিভ্রান্তিমূলক। গত জুনেই একথা জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর দেখা যায় বকেয়া ৪৮ শতংশের মধ্যে মেরেকেটে মিটছে ২৫ শতাংশ ডিএ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত জুনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ১২৫ শতাংশ হারে ডিএ দেবে সরকার। ২০১৯- সালের জানুয়ারি থেকে লাগু হবে নতুন হার। এজন্য অতিরিক্ত ৫০০০ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল বেতনের ১০০ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। 


কিন্তু কয়েকদিন পর জানা যায়, অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ডিএ-র মধ্যে রয়েছে ৭ শতাংশ ইন্টিরিম রিলিফ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু না হওয়ায় আইন অনুসারে ১০ শতাংশ হারে ইন্টিরিম রিলিফ পেতেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তা বর্ধিত বেতনের ৭ শতাংশ বিবেচনা করে ডিএর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আসলে অনেকের বেতন কিছুটা কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ছড়িয়েছিল। 


গণতন্ত্রের জ্ঞান মোদীর কাছ থেকে নেব না: মমতা


এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ কর্মী সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বেতনবৃদ্ধির নামে ছেলেখেলা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা দেশে কোথাও রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে এমন হয় না বলে দাবি তাদের। বকেয়া বেতন না মেটালে রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বামপন্থী কর্মী সংগঠন।