পাখির চোখ একুশে ভোট, ২ বছরের মধ্যেই জঙ্গলমহলে বিশ্ববিদ্যালয় গড়বে মমতা সরকার
প্রায় সাড়ে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ২ বছর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জঙ্গলমহলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। জঙ্গলমহলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছে। এবার সেই দাবি পূরণের পালা।
ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করেছে পূর্ত দফতর। প্রায় সাড়ে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ২ বছর। এই সময়কালের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শেষ করতে হবে। দরপত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হস্টেল, স্টুডেন্টস অ্যাক্টিভিটি সেন্টার, গেস্ট হাউজ, গ্রন্থাগার ভবন সবই তৈরি করা হবে।
জঙ্গলমহলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিত। রাস্তা, পানীয় জল, ব্রিজ কর্মসংস্থান সব দিক থেকেই পিছিয়ে তারা। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে বাম আমলে মাওবাদীরা জঙ্গলমহল এলাকায় তাদের সংগঠন গড়ে তোলে। তবে ২০১১ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে জঙ্গলমহলের ছবিটা বদলাতে শুরু করে।
আরও পড়ুন, উপনির্বাচনে আক্রান্ত জয়প্রকাশ, সর্বভারতীয় স্তরে এটাই এখন মোক্ষম অস্ত্র বিজেপির
জঙ্গলমহলের উন্নয়নে একাধিক কর্মসূচি নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। মানুষের দাবি মেনে শুরু হয় একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ। তখন থেকে জঙ্গলমহলের গরিব ছেলেমেয়েদের সুবিধার্থে জেলাতেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানান এলাকাবাসী। সেই দাবি মেনেই এবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত সরকারের।
আরও পড়ুন, উদ্বাস্তু মন জয়ে কেন্দ্রের জমিতে বসবাসকারীদের সার্টিফিকেট দেবে রাজ্য সরকার
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে ভোটবাক্সের রাজনীতিকেই দেখছে ওয়াকিবহল মহল। একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের পরেও এবার লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গলমহল থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়। এরপরই সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল আনেন তৃণমূল নেত্রী। এখন সামনে পাখির চোখ একুশে বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলবাসীর মন ফিরে পেতে তৎপর মমতা সরকার। আর সেই কারণেই এর মধ্যেই জঙ্গলমহলবাসীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি পূরণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।