নিজস্ব প্রতিবেদন: চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে খুন্তি হাতে রাঁধতে রাঁধতে সেই রান্নায় কী কী লাগবে এ নিয়ে চায়ের দোকানের মহিলার সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। দৃশ্যটা স্পষ্টতই বিহ্বল করে দিয়েছে মেনকা এবং তাঁর স্বামী বাবু বাগদিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার বোলপুরে সফর ছিল মমতা ব্যানার্জীর। ঘটনাস্থল বোলপুর বল্লভপুরডাঙা গ্রাম। সেই গ্রামের শেষ প্রান্তে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড। সেখানেই যাওয়ার পথে হঠাৎ স্থানীয় গ্রামে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। গ্রামবাসীরা তাঁকে গ্রামে শৌচালয় না থাকা, পানীয় জলের সমস্যা এবং খারাপ রাস্তার বিষয়ে অভিযোগ জানান। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। গ্রামবাসীদের 'দুয়ারে সরকারে'র সুবিধা নিতে বলেন মমতা।


এরপর কথা বলতে বলতেই মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের মোড়ে চলে আসেন। সেখানে পাশাপাশি দু'টি চায়ের দোকান। একটি বাবু-মেনকার, যেটি 'দাদাবৌদি'র দোকান নামেও পরিচিত। অন্যটি চন্দনা বাগদির দোকান।


মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎই মেনকার দোকানে ঢুকে পড়েন। তখন ওই দোকানে পাঁচমিশালি একটি তরকারি রান্না চলছিল। সেখানে খুন্তি হাতে নিজেই রান্না শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। খুন্তি নাড়তে নাড়তেই বাবু-মেনকার সঙ্গে রান্না নিয়ে কথা বলেন।



বিষয়টি কী বলছেন মেনকা? মেনকা বলেন, 'আমার দোকানে দিদি আসেন। এসে রান্না করেন। বলেন, কী কী লাগবে রান্নায়। এরপর চা খান। চা খেয়ে একটি ৫০০ টাকার নোট দেন। আমি বলি, চায়ের দাম এত নয়! তিনি বলেন, মিষ্টি খাবে, রেখে দাও টাকাটা।'


বাবু বলেন, 'আমাদের দোকানে জলের সমস্যা ছিল। বছরসাতেক আগে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হত। বিষয়টা দিদিকে বলা হয়েছিল। তখন ওঁর নির্দেশে একটি নলকূপ বসানো হয়েছিল। জলের সমস্যা মিটেছে। এখন বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। দিদিকে বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন বিষয়টি দেখবেন। আমাদের আবেদন জমা দিতে বলেন।'


পাশের দোকানটিকেও বঞ্চিত করেননি মুখ্যমন্ত্রী। যান চন্দনার দোকানেও। সেখানেও দোকানে বসে থাকা বাচ্চাটির হাতে ৫০০ টাকা দেন। চন্দনা জানান, দিদিকে বিদ্যুতের সমস্যার কথা বলেছেন তিনি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


তবে আদিবাসী গ্রামে চায়ের দোকানে গিয়ে চা পান বা নিজের হাতে রান্না করলেও সেখানে আদিবাসীদের ক্ষোভ শুনে কিছুটা ক্ষুব্ধও হন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে তিনি উন্নয়ন-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন।