`পরাক্রম দিবস` নাম পছন্দ নয়, নেতাজীর জন্মদিনে রাজ্যে `দেশনায়ক দিবস` পালন করবেন মমতা
এ দিন পুরুলিয়ার সভা সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নেতাজীর জন্মদিন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্র যা ঘোষণা করেছে তা একান্তই তাদের বিষয়। পরাক্রম দিবস নামে আমরা খুশি নই, নেতাজীর পরিবারও খুশি নয়। দেশনায়ক দিবস বা দেশপ্রেম দিবস নামকরণ হলেই ভাল হতো। নেতাজির জন্মদিনকে কেন্দ্রের পরাক্রম দিবস ঘোষণায় এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ দিন পুরুলিয়ার সভা সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে নেতাজীর জন্মদিন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, যে যেভাবে ইচ্ছে পালন করুন, আমরা এদিন ১২টার সময় শ্যামবাজারে নেতাজী মূর্তির সামনে জমায়েত করব। সেখান থেকে পদযাত্রা হবে।
আগেই কেন্দ্রের কাছে নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে বছরভর। সেই অনুষ্ঠানের তদারকির জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করার কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বাংলায় ধমকানো যাবে না, ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাক: মমতা
সম্প্রতি সেই কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফে। সেই উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে রাখা হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলি, মিঠুন চক্রবর্তী, কৌশিক গাঙ্গুলি, সুব্রত ভট্টাচার্য, এ আর রহমানের মতো বিশিষ্টরা। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নিজেই। এছাড়া অমিত শাহ, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমনের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও রয়েছেন। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও রাখা হয়েছে কমিটিতে। রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে মোদীর পরাক্রম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত মমতার পছন্দ নয়। সে কারণে দেশনায়ক দিবস হিসেবেই দিনটিকে পালন করবে রাজ্যবাসী। সোমবার এই বার্তাই দিলেন নেত্রী।
উল্লেখ্য, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন অর্থাত্ ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করা হবে। আজ কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী তিনি।
শিয়রে একুশের বিধানসভা ভোট। লক্ষ্য বাংলা দখল। কখনও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কখনও অমিত শাহ। দফায় দফায় বাংলা সফরে হাজির হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব। এবার বাংলায় আসছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে নেতাজি। আর বাংলা দখলের লড়ায়ে তাই বাঙালির নেতাজী আবেগকেও হাতিয়ার করতে চায় কেন্দ্র।