নিজস্ব প্রতিবেদন: বড় মার বয়স একশো পেরিয়েছে। তিনি সই-ই করতে পারেন না। শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ করে পালটা দাবি বীণাপানি দেবীর পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুরের। তৃণমূল সাংসদ মমতাবালার দাবি, কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মতুয়া সম্প্রদায়। তাই রাজ্যসভায় এই বিলের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনু ঠাকুর মিডিয়াকে যে  চিঠি দেখিয়েছেন, তা আদৌ বড় মায়ের লেখা কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। কারণ বড়মা এখন লিখতেই পারেন না।  সে বিষয়ে তদন্তও দাবি করেছেন মমতাবালা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দেড় বছরের ছেলেকে কোলছাড়া করতেই গুলি, লুটিয়ে পড়েন সত্যজিত্


প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগর সফরের  ন’দিনের মাথায় মতুয়া ঠাকুরবাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি  করা হয়। চিঠির বিষয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে তৃণমূলের সমর্থন আদায়। বিজেপি নেতা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের পুত্র শান্তনু ঠাকুর দাবি করেন, খোদ বড় মা বীণাপানি দেবী  মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠি লিখেছেন।  শান্তনু ঠাকুর যে চিঠি প্রকাশ করেছেন, তাতে দাবি করা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাস হলে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সব থেকে বেশি লাভবান হবেন। তাই রাজ্যসভায় এই বিল তৃণমূল যেন সমর্থন করে। তা না হলে, মতুয়ারা আর তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে না।


আরও পড়ুন: বিধায়ক খুনে ওসি ও দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ


প্রসঙ্গত,  কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ লোকসভায় পাস হলেও, রাজ্যসভায় আটকে রয়েছে। সংসদের উচ্চকক্ষে এই বিলের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু ঠাকুরের দাবি করেন, বড় মা বীণাপানি দেবী এই চিঠি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁকেই দিয়েছেন। সেইমতো সোমবার সকালে মেল মারফত চিঠি পাঠানো হয় নবান্নে।


নিহত বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “বড় মার বয়স একশো পেরিয়েছে। তিনি সই-ই করতে পারেন না।  ওই চিঠি জালি ও মিথ্যা। আমরা এর  বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাব।”