Midnapore: চাকরি হাতাতে মৃত এনভিএফ কর্মীকে বাবা সাজিয়েও শেষরক্ষা হল না, গ্রেফতার যুবক
ধৃত জিতেন্দ্র নাথ ঘোষ এনভিএফ অ্যাসোসিয়েশনের পদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে
চম্পক দত্ত: আত্মীয় ছিলেন এনভিএফ কর্মী। চাকরিরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সেই চাকরি হাতাতে মৃত ওই আত্মীয়কে বাবা সাজিয়ে 'ডাইং হারনেস'-এর চাকরি আবেদন করেন এক যুবক। মৃত এনভিএফ কর্মীর ছেলে হিসেবে যাবতীয় ভুয়ো তথ্য সাবমিটও করে দিয়েছিলেন বোর্ডে। চাকরিও প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। বাধ সাধল শেষ মুহূর্তে পুলিসের স্পট ভেরিফিকেশন। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবক-সহ এই চাকরি চক্রের আরও ২ পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। যার মধ্যে একজন আবার এনভিএফ অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারী বলেও শোনা যাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থেকে। কেশিয়াড়ির বাসিন্দা যুবক উজ্জ্বল মাইতি এনভিএফএ চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন জেলার এনভিএফ বোর্ডে। আবেদনপত্রে দেখিয়েছিলেন তার বাবা নারায়ণ মাইতি এনভিএফ কর্মী ছিলেন। মারা গিয়েছেন কর্তব্যরত অবস্থায়। তাই আইন অনুসারে সেই চাকরির উত্তরাধিকারী তিনি।
আবেদনপত্র অনুসারে চাকরির ভেরিফিকেশন শুরু হয়ে গিয়েছিল। মেদিনীপুর থেকে আধিকারিকরা স্পট ভেরিফিকেশন করতে গিয়েই জানতে পারেন আবেদনকারী যুবক উজ্জ্বল মাইতির বাবা অন্যজন। আসল বাবা প্রবীর মাইতি। মৃত ব্যক্তি নারায়ণ মাইতি তার আত্মীয়। অথচ নারায়ণ মাইতি কে বাবা সাজিয়ে আধার কার্ড, ভোটার আইডি-সহ যাবতীয় ডকুমেন্টস তৈরি হয়ে যায়। এরপরই বোর্ডের নির্দেশে ডি আই বি এর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের হয় মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালি থানায়। সেই মতো পুলিস তদন্ত নেমে চাকরি প্রার্থী যুবক উজ্জ্বল মাইতি-সহ জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ, গোবিন্দ প্রসাদ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাদের গ্রেপ্তার করে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের কাছে হেফাজতের আবেদন করলে বিচারক তাদের ৩ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বাণীকান্ত ভট্টাচার্য বলেন-" উজ্জ্বল মাইতির বিরুদ্ধে ডিআইবির পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তারই তদন্ত নেমে কোতোয়ালি পুলিস এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কাগজপত্র নকল সাবমিট করে চাকরির চেষ্টা করা হয়েছিল।"
তবে এই ঘটনায় এনভিএফ-এ দালাল চক্রের তথ্য সামনে উঠে এসেছে। ধৃত জিতেন্দ্র নাথ ঘোষ এনভিএফ অ্যাসোসিয়েশনের পদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পদে থাকার সুবাদে এই জাল চাকরির চক্র চালান কিনা কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে শুরু করেছে পুলিস। তবে মেদিনীপুর আদালতের জীতেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন, সাংগঠনিক শত্রুতার জেরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের নাম জড়ান হয়েছে।
আরও পড়ুন-উদ্বোধনে আমন্ত্রণ বিতর্ক, কার্ড পাননি অরূপ! চূড়ান্ত অসম্মান, তোপ ফিরহাদ-কুণালের