নিজস্ব প্রতিবেদন: সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিল খুড়তুতো ভাই। শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃতদেহ আটকে তা ময়না তদন্তের দাবি করেন বার্নপুর সাঁওতালডাঙ্গার সারদাপল্লীর প্রণব পাল। তাঁর দাবি ছিল, খুড়তুতো বোনের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পাশাপাশি দাদা বিধানচন্দ্র পালকে জেরা করা হোক। আর ময়নাতদন্ত হতেই বেরিয়ে পড়ল সবকিছু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যর নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা


গত বুধবার রাজ্যে যেদিন ইয়াস(Yaas) আছড়ে পড়ে সেদিনই বোন সোমা পালের মৃতদেহ নিয়ে সত্কার করতে যাচ্ছিলেন মৃতার দাদা বিধানচন্দ্র পাল। সেই দেহ আটকে দিতেই এলাকার লোক জড়ো হয়ে যায়। চলে আসে পুলিসও। মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। 


এদিকে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসতেই প্রণব পালের সন্দেহ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়নি সোমা পালের। বরং তাঁকে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে। পুলিস জেরা শুরু করে দাদা বিধানে। তাতেই বেরিয়ে আসে একাধিক অসংগতি। গ্রেফতার করা হয় বিধানকে।


পুলিসের জেরায় উঠে এসেছে, শুধু সোমা পালকেই নয়। গত ১৪ এপ্রিল তার অন্য এক বোন সম্পা পালকেও খুন করেছিল বিধান। উদ্দেশ্য ছিল দুই বোনকে মেরে সব সম্পত্তির মালিক হয়ে যাওয়া। দুটি মৃত্যুর ক্ষেত্রেই ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিল স্থানীয় এক হোমিওপ্যাথি চিকিত্সক। তাকেও গ্রেফতার করে পুলিস।  বিধান ও চিকিত্সককে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা সমানে চলে এসেছে।


আরও পড়ুন-অবসর নিলেন আলাপন, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ Mamata-র  


এনিয়ে আসানসোল-দূর্গাপুর পুলিসের ACP(হীরাপুর) প্রতীক রায় বলেন, সীমা পালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায় সীমাকে খুন করা হয়েছে শ্বাসরোধ করে। তাই তার আটক থাকা দাদা ও এক চিকিৎসককে  গ্রেপ্তার করে আসানসোল(Asansol) আদালতে পাঠানো হয়। এরপর তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)