শ্রীকান্ত ঠাকুর: গ্রামবাসীদের অভিযোগ এক গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাঁচু হালদার। রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের পাটন এলাকায় দাসপাড়ায় মদ খেতে গিয়েছিল পাঁচু। সেই সুযোগে রবিবার রাতে পাঁচুকে আটক করে রাখে এলাকার মানুষজন। সোমবার সকাল থেকে একটি গাছে বেঁধে পাঁচুকে মারধর করা হয়। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভোট শেষ হতেই বনগাঁয় তৃণমূলের 'বিজয় উৎসব'! চলল আবির খেলা...


এদিকে ওই মারধরের জেরে গাছে বাঁধা অবস্থাতেই অজ্ঞান হয়ে যায়। সোমবার দুপুর খবর জানাজানি হতেই পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর যায় গঙ্গরামপুর থানায়। পুলিসের সাহায্য় নিয়ে পাটন এলকা থেকে পাঁচুকে তুলে আনা হয় গঙ্গরামপুর হাসপাতালে। গঙ্গারামপুর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাচু হালদার কে মৃত বলে ঘোষণা করে। পাঁচু হালদারের বাড়ি মহারাজপুর এলাকার রথখোলা এলাকায়। রাতে অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবারের লোকজন।


পিটিয়ে মারার অভিযোগে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ সোমবার রাতে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ সুভাষ সরেন, যিশু মার্ডি টুডু এবং লোককে মুর্মু কে আটক করেছে এবং মঙ্গলবার সকালে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।


নিহতের দাদা রতন হালদার বলেন, কেন মেরেছে বলতে পারব না। তবে নরেশ ও ৭-৮ জন মিলে মেরেছে। কাল রাতে নিখোঁজ ছিল। রাত দশটার সময় খবর পেলাম টুনটুনিপাড়ায় ও আছে। ওখানে থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখনও ও জীবিত ছিল। হাসপাতালে আনার পরই ও মারা গিয়েছে।


পাঁচু হালদারের বাবাব কালু হালদার বলেন রাতে খবর পেলাম ওকে টুনটুনিপাড়ায় বেঁধে রাখা হয়েছে। থানায় খবর দেওয়া হল। থানার লোক হাসপাতালে নিয়ে গেল। ওখানেই ও মারা গিয়েছে। ছেলেকে খুব মারধর করা হয়েছে।


এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, অল্পবয়সী ছেলে। এক মহিলার বাড়িতে গিয়েছিল। ওখানে ওকে মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওর মৃত্যু হয়। এনিয়ে তথ্যপ্রমাণ হাতে নিয়ে মামলা করা হচ্ছে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)