Belur: প্যারোলে মুক্ত, ঘরে ফিরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড করল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী
২০০৮ সালে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আদেশ হয়। তখন থেকেই সে ছিল মেদিনীপুর জেলে। সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসেছিল। রবিবারই তার সংশোধনাগারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল
দেবব্রত ঘোষ: রবিবার তোলপাড় বেলুড়ের জয়বিবি রোড। বহু ডাকাডাকির পরও ঘর থেকে বের না হওয়ায় চিত্কার শুরু করে দেয় সুনীল কুমার সাউয়ের বাড়ির লোকজন। শেষপর্যন্ত জানালা খুলে দেখা যায় ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সুনীল। খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল সুনীলের। বেশ কিছুদিন সাজা ভোগ করার পর কেন এরকম ঘটনা তা বুঝে উঠতে পারছেন না বাড়ির লোকজন। মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন-মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে জমির 'হাতবদল', গ্রেফতার প্রোমোটার
বেলুড়ের জয় বিবি রোডের বাসিন্দা সুনীল কুমার সাউ এতদিন ছিল মেদিনীপুর সংশোধনাগারে। ভাইকে খুন করার জন্য ২০০৮ সালে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আদেশ হয়। তখন থেকেই সে ছিল মেদিনীপুর জেলে। সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসেছিল। রবিবারই তার সংশোধনাগারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। এদিন সকালে ঘরের দরজা না খোলায় বাড়ির লোক দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। তাতেও সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখে সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সুনীল।
গোটা ঘটনা পুলিসকে জানানো হলে বেলুড় থানা থেকে পুলিস এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। সাজা পাওয়ার এতদিন পর কেন সে এই ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। সেই কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মানসিক অবসাদ থেকেই আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সুনীল। বিয়েও করেছিল। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। সেই কারণেই মানসিক অবসাদ কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।