নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়ের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের জেরে খুন হলেন কাটোয়ার এক যুবক। প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুনের চেষ্টা ও পরে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। তবে শেষরক্ষা হল না। নিহতের ছেলের জবানবন্দিতে ধরা পড়ে গেল দু’জন। কাটোয়ার বিজনগড় গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম সুজিত মন্ডল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০%, বানতলায় কর্মদিগন্তে ৫ লক্ষের চাকরি: মমতা


বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে এলে পুলিসের সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহের জেরেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। আর তাতেই বেরিয়ে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য।



পুলিসের কাছে সুজিতের দশ বছরের ছেলে জানিয়েছে, মা ও গৃহশিক্ষক নয়ন পাল বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে বাবাকে। শুধু তাই নয় দেখে ফেলায় তাকেও খুন করার হুমকি দেয় নয়ন।


ওই তথ্য বেরিয়ে আসার পরই নয়ন পাল ও সম্পা মন্ডলকে চাপ দেয় পুলিস। তাতেই বেরিয়ে আসে গোটা ঘটনা।


আরও পড়ুন-কাঞ্চিপুরমের মন্দিরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৪


দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্ক ছিল গৃহবধূ সম্পা মন্ডল ও নয়ন পালের। সেই সম্পর্কের জেরেই স্বামী সুজিত মন্ডলকে খুনের পরিকল্পনা করে ফেলে সম্পা। বুধবার রাতে সুজিতকে চপের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় সে। সেই ওষুধ এনে দেয় নয়ন। সকালে দেখা যায় সুজিত বেঁচে রয়েছে। সেই খবর সম্পা দেয় নয়নকে। সম্পার বাড়িতে চলে আসে নয়ন। তারপর বালিশ চাপা দিয়ে সুজিতকে খুন করে দুজনে। গোটা ঘটনাটি দেখে ফেলে সম্পার ছেলে। সম্পা ও নয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।