অশোক মান্না: মহেশতলায় নিজেকে সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল এক ব্য়ক্তি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। লালবাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে এখন গ্রেফতার এক ব্যক্তি। ডাকঘর থেকে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে মহেশতলা থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ইসমাইলের শ্যামা! মুসলিম শিল্পীর হাতেই নয়ন মেলেন হিন্দুর দেবী...


দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ২২ নম্বর ওয়ার্ড, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড-সহ একাধিক জায়গায় প্রায় পাঁচ জনকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা নেয় বলে অভিযোগ। প্রতারিতদের অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার আগেই তাদের থেকে টাকা চাওয়া হয় এবং তাদের প্রত্যেককেই আশ্বাস দেওয়া হয় তারা ২০-২৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন পাবে। যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত।


টাকা দেওয়ার পরও চাকরি না পেয়ে হতাস হয়ে পড়ে প্রতারিতরা। এরপরই মহেশতলা থানার পুলিস তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে মহেশতলার ডাকঘর থেকে গ্রেফতার করে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো এবং তার মামার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার রসপুঞ্জ এলাকাতে। মামার বাড়িতেই বড় হয়েছে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের কাছ থেকে ৫৬০০ টাকা সহ একাধিক নামে ভুয়ো সিআইডির কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিস। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিস। পাঁচজনকে চাকরির আশ্বাস দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত।


তাপস মাকাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, টাটা মোটরসে কাজ করতাম। সেই কাজ নেই। আমার কয়েকজন পরিচিতকে কাজের কথা বলেছিলাম। একজন বলল সিআইডিতে কাজ করে এমন একজনের সঙ্গে তার পরিচয় রয়েছে। সেই কথা শুনে ওর সঙ্গে দেখা করি। উনি এসে বলেন, আমরা একটা চাকরির ব্যবস্থা তিনি করেছেন। আপাতত তাঁকে ২৬০০ টাকা দিতে হবে। আমি প্রশ্ন করলাম আমার সঙ্গে যোগাযোগ হল না। কীভাবে চাকরি হতে পারে? উনি বললেন ওভাবে হয় না। আপনাকে আগে টাকা দিতে হবে। বলেছিল লালবাজারের মেকানিক ডিপার্টমেন্ট চাকরি দেবে। সব শুনে বললাম আমি যে টাকা দেবে তার একটা রসিদ দিন। আমাকে বলেছিল ১৫ হাজার টাকা মাইনের চাকরি দেওয়া হবে। এরকম ৪-৫ জনের সঙ্গে টাকা নিয়েছে।


মহেশতলা ডাকঘরের বাসিন্দা নুর আলম মোল্লা নামে এক যুবক বলেন, ওই লোকটা বলেছিল ডিএসপির গাড়ি চালানোর লোক লাগবে। আর একজন থানার গাড়ি চালানোর ড্রাইভার লাগবে। উনি বললেন ২৭০০ টাকা করে দিতে হবে। আমরা ২০০০ টাকা দিয়েছিলাম। একদিন পরেই বলে তোমাদের মাইনে একটু বাড়িয়ে দেব আরও ২০০০ টাকা দিতে হবে। বলেছিল ২৫ হাজার টাকা মাইনে করে দেবে। তারপর আজ না কাল বলে জোলাচ্ছে। আমার হাত দিয়ে ৩ জনের টাকা ওদের দেওয়া হয়েছে। মোট ১২ হাজার টাকা। আমাকে বলেছিল লালবাজারে ডিএসপির গাড়ি চালানোর চাকরি দেওয়া হবে। উনি বলেছিলেন সিআইডি ডিপার্টমেন্টে চাকরি দেওয়া হবে।   


 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)