Bolpur Death: সম্পর্কে বাধা পরিবারের, গাড়ি চালিয়ে প্রেমিকার বাবাকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে

প্রসেনজিত্ মালাকার: প্রেমের সম্পর্ক মানতে চায়নি পরিবার। মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয় অন্য জায়গায়। এবার মেয়ে অষ্টমঙ্গলায় এলে প্রেমিকার বাড়িতে এসে হাজির প্রেমিক। বিবাহিত প্রেমিকাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়াই শুধু নয় বাধা দেওয়ায় গাড়ি দিয়ে পিষে দিল প্রেমিকার বাবাকে। একেবারে সিনেমার মতো ওই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের বোলপুর থানার যজ্ঞ নগর গ্রামে। ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের গাজু সেখ এবং কুতুবা খাতুনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে ছিল। কিন্তু তাদের ওই সম্পর্ক মানতে চাননি মেয়ের বাবা-মা। ইতিমধ্যে তারা মেয়ের অন্য জায়গায় সম্বন্ধ করে বিয়ে দেন। বিয়ের ৭ দিনের মাথায় অষ্টমঙ্গলা করতে এলে সেই খবর পান ওই যুবতীর প্রেমিক গাজু সেখ। হঠাৎ গাজু  একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে হাজির হন কুতুবার বাড়িতে। এরপরই ওই গাড়িতে দুজনে পালানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গাড়ি না থামিয়ে তারা মেয়ের বাবার উপর গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়ের বাবা কুদ্দুস সেখকে বোলপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপর বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে।

নিহতের ভাইপো সেখ মিলন বলেন, কুতুবাকে যখন গাড়িতে চাপায় তখন তাতে বাধা দেয় আমার কাকিমা। তাকে ধাক্কা দিলে সে পড়ে যায়। এসব দেখে ছুটে আসে কাকা। তিনি এসে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে ফেলেন। তারপরই কাকাকে পিস্তলের বাট দিয়ে মারা হয়। তাতেও গাড়ি ছাড়েনি কাকা। সেই অবস্থায় বিরাট গতিতে গাড়িটা বেরিয়ে যায়। কাকাকে টানতে টানতে নিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত কাকা পড়ে যায়। তার উপর দিয়ে বারবার গাড়ি চালিয়ে দেয়। মেয়ের বিয়ে হয়েছিল এক সপ্তাহ। কাকা মেয়ের সম্পর্ক মানতে রাজি ছিল না। মেয়ে অষ্টমঙ্গলায় এসেছিল। এবার গতকাল জোর করে ওকে নিয়ে যায় ওর প্রেমিক। সোনার গহনা-সহ বহু জিনিসপত্র নিয়ে চলে গিয়েছে।