নির্মল পাত্র: শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে নিখোঁজ প্রতিবন্ধী ছেলে! তারকেশ্বরের রাস্তায় ছবি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাবা। প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সুখদেব বিশ্বাস। বাড়ি, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে, রবিবার তারকেশ্বরে এসে পৌঁছন সুখদেব। সঙ্গে ছিলেন বন্ধুরাও। সন্ধ্যায় কোনওভাবে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যান সুখদেব। কোথায় গেলেন? এখনও পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি।


আরও পড়ুন: Howrah Fraud: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা? বিডিও অফিসে ডেকে অভিযুক্তকে বেধড়ক মার!


সোমবার সকালে তারকেশ্বরে চলে আসেন সুখদেবের বাবা অন্নদা বিশ্বাস। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু পুলিসের তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। আপাতত স্টেশনেই রাত কাটাচ্ছেন অন্নদা। আর সকালে হলেই ছেলের হাতে বেরিয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন এলাকার ছেলের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! 


খোঁজ নেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কামারা চক্রপুকুর এলাকায় বাসিন্দা শ্রীমন্ত দাসেরও। পরিবারের লোকেদের দাবি, এর আগেও বেশ কয়েকবার তারকেশ্বরে গিয়েছেন তিনি। ২৪ জুলাই, রবিবার ভোরে শিবের মাথায় জল ঢালতে ফের তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সোমবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর, কিন্তু ফেরেননি। কেন? পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতুয়ালি থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি করেন শ্রীমন্ত দাসের পরিবারের লোকেরা। এরপর তারকেশ্বর থানায় হাজির হন তাঁরা। স্রেফ নিখোঁজ ডায়েরি করা নয়,  খোঁজ খবর করেন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালেও।


আরও পড়ুন: North Bengal Rare Tourist Destination: পুজোর মুখে হাত বাড়ালেই জলপ্রপাত মেঘ, নতুন ট্যুরিস্ট স্পট...


এদিকে জল্পেশ মন্দির যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৬ জন। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য সরকারের তরফেও মৃতদের পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা চেক তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। 


কীভাবে ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা? তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে পিক-অ্য়াপ ভ্যানে জল্পেশ মন্দিরে যাচ্ছিলেন একদল পুণ্যার্থী। শুধু তাই নয়, জেনারটরের সাহায্যে পিক-অ্যাপ ভ্য়ানে বাজানো হচ্ছিল ডিজে। চ্যাংড়াবান্ধার কাছে আচমকাই চিৎকার করতে শুরু করেন যাত্রীরা। তড়িঘড়ি পিক-অ্যাপ ভ্যানটি থামান চালক। ততক্ষণে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে, ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত ১৬ জনের চিকিৎসার চলছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এর আগে, বর্ধমানেও শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে ট্রাকে চাকা পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। গুরুতর আহত আরও ২ জন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)