Howrah Fraud: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা? বিডিও অফিসে ডেকে অভিযুক্তকে বেধড়ক মার!
আটক অভিযুক্ত। পুলিসকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিডিও।
দেবব্রত ঘোষ: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা? টাকা আত্মসাৎ? বিডিও অফিসে ডেকে এনে অভিযুক্তকে মারধর করলেন মহিলারা! ঘটনাস্থল, হাওড়ার ডোমজুড়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাজেশ চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি, ডোমজুড়েই। অভিযোগ, নিজেকে বিডিও অফিসের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। এমনকী, খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে মহিলাদের কাছ টাকাও নিয়েছিলেন। কেউ ৩০ হাজার, তো কেউ আবার ৩৫ হাজার। চাকরি পাওয়ার আশায় রাজেশকে টাকা দিয়েছিলেন ১০ জন, কিন্তু চাকরি পাননি কেউই!
চাকরি হল না কেন? যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের সন্দেহ হয়। এদিন আরও টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজেশকে ডোমজুড়ের বিডিও অফিসে রাজশকে ডেকে আনেন তাঁরা। এরপর যখন টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন, তখন অভিযুক্তকে বেধড় মারধর করেন দুই মহিলা।
চাকরি দেওয়ার নাম প্রতারণা? হাওড়ায় বিডিও অফিসে ডেকে অভিযুক্তকে বেধড়ক মার!#zee24ghanta pic.twitter.com/HmRqdUV4ez
— zee24ghanta (@Zee24Ghanta) August 3, 2022
এই ঘটনার ছবি ধরা পড়ে বিডিও অফিসের সিসিটিভি ক্য়ামেরায়। ওই দুই মহিলা ও অভিযুক্ত রাজেশ চট্টোপাধ্যায়কে নিজের অফিসে ডেকে পাঠান বিডিও গার্গী দাস। প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করে নেন রাজেশ। এমনকী, তিনি যে বিডিও অফিসের কর্মী নন, সেকথাও জানান। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় চলছে। এসএসসি মামলায় এখন ইডি-র হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রেহাই পাননি তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। তদন্তে উঠে আসছে একের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গতকাল, মঙ্গলবার সকালে মেডিক্য়াল পরীক্ষার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আনা হয়েছিল জোক ইএসআই হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। হাসপাতাল থেকে যখন বেরোচ্ছিলেন, তখন অপসারিত মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন আমতলার বাসিন্দা শুভ্রা ঘোড়ুই। সেই জুতো অবশ্য গায়ে লাগেনি পার্থের। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন শুভ্রাও। তাঁর আক্ষেপ, 'জুতোটা মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম'।
আরও পড়ুন: North Bengal Rare Tourist Destination: পুজোর মুখে হাত বাড়ালেই জলপ্রপাত মেঘ, নতুন ট্যুরিস্ট স্পট...
হাওড়ায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল এর আগেও। প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি না পেয়ে বিজেপি প্রার্থী সুমিতরঞ্জন কাঁড়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েক করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। খবর চাউর হতেই থানায় জড়ো হন অভিযোগকারী। সিআইডি তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। একুশের বিধানসভা ভোটে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন সুমিতরঞ্জন কাঁড়ার। অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি, কিন্তু চাকরি দিতে পারেননি! এমনকী, কয়েকজন টাকা ফেরতের যে চেক দিয়েছিলেন, সেই চেকও বাউন্স করেছে।