Jalpaiguri: বাংলার মাটি লড়ছে চিনের আলোর সঙ্গে! কালীপুজোর অমাবস্যায় কি ফুটবে নতুন আলো?
Jalpaiguri: সামনেই কালীপুজো। দীপাবলির প্রাক্কালে যথারীতি শুরু হয়েছে আলোর উপাখ্যান। চিনা টুনি নাইট থেকে শুরু করে প্লাস্টিকবডি টুনি লাইট, কৃত্রিম প্রদীপ-সহ হরেক আলোয় ছেয়ে গিয়েছে শহর থেকে গ্রাম। তবে, এই আলোর একটা অন্ধকার দিক থাকে।
প্রদ্যুৎ দাস: সামনেই কালীপুজো। দীপাবলির প্রাক্কালে যথারীতি শুরু হয়েছে আলোর উপাখ্যান। চিনা টুনি নাইট থেকে শুরু করে প্লাস্টিকবডি টুনি লাইট, কৃত্রিম প্রদীপ-সহ হরেক আলোয় ছেয়ে গিয়েছে শহর থেকে গ্রাম। তবে, এই আলোর একটা অন্ধকার দিক থাকে। প্রথাগত আলোর বাজার-- মূলত মাটির প্রদীপকে ঘিরে যেটা যুগ যুগ ধরে বেঁচে রয়েছে-- সেটা মার খায় এই সময়ে।
আরও পড়ুন: Hili: কাঁটাতারের বন্ধনের মধ্যেই কালীপুজোর মুক্তি! সম্প্রীতিতে উজ্জ্বল ঘোর অমানিশা...
কিন্ত আশার আলো হল, কৃ্ত্রিম আলোর এই রমরমা পরিস্থিতিতেও জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের সিঙিমারি এলাকার পালপাড়ায় শিল্পীদের ব্যস্ততা এখন ভালোই। মাটির প্রদীপ, ধুপতি, ঘট-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সেখানে বানানো চলছে। চিনের বিরাট বাজারের সামনেও নতি স্বীকার না করে লড়াই চালাচ্ছে বাংলার মাটির শিল্প। একথা ঠিক, চিনের টুনি লাইট এবং প্লাস্টিকের আলো, কাগজের গ্লাস-সহ বিভিন্ন সরঞ্জামে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। কদর কমছে মাটির প্রদীপ-সহ বিভিন্ন জিনিসের। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ক্রমান্বয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পালপাড়া। পালপাড়ার শিল্পী এই মানুষগুলির অভিযোগ, সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিতই তাঁরা।
চিনের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ভারতীয় সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই-- এতটা হয়তো বলা যাবে না। তবে চিনের আলোকে পিছনের সারিতে ঠেলে বাজারে গ্রামবাংলার নিজস্ব পরিকাঠামোয় তৈরি আলোর অগ্রাধিকার পাওয়ার চেষ্টাটাও তো একটা লড়াই। আধুনিক পালপাড়ায় সেই লড়াইটা দেখা যাচ্ছে না। কেননা, পালপাড়ার প্রবীণেরা আক্ষেপ করে বলছেন, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই কাজে আর এগিয়ে আসছে না।
আরও পড়ুন: Dakshin Dinajpur: প্রদীপের নীচে অন্ধকার! কালীপুজোর আগেই ঘোর অমাবস্যা কুমোরপাড়ায়?
পালপাড়ার প্রবীণদের আরও অভিযোগ, মাটির জিনিসপত্র বানাতে মাটির বোয়াল-সহ যে বিভিন্ন সরঞ্জাম লাগে তার দাম আগের থেকে অনেক বেড়েছে। মাটিও ঠিক মতো পাওয়া যায় না। পরিশ্রম অনুযায়ী আয় হয় না। আর আগের চেয়ে বিক্রি তো কমেছেই। তবে কালীপুজো ও দেওয়ালির মরসুমে কিছুটা হলেও বিক্রি বাড়ে সেই আশাতেই তাকিয়ে বসে রয়েছেন তাঁরা।