নিজস্ব প্রতিবেদন: বীর সন্তান ঘরে ফিরলেও শোকের ছায়া গ্রামে। কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানের দেহ কফিনবন্দি হয়ে ফিরতেই ভেঙে পড়ল গোটা গ্রাম। ধুপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়িতে মানুষজনের চোখ ঝাপসা। তার থেকেও ঝাপসা শহিদ জওয়ান জগন্নাথ রায়ের পরিজনদের চোখ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে ভোটের আগে বাড়ল নিরাপত্তা, Suvendu-র সুরক্ষায় মোতায়েন ৩০ মহিলা আধাসেনা  




গত ২৫ মার্চ বারামুলায় জঙ্গিদের গুলিতে আহত হন জগন্নাথ রায়। ওইদিন হামলা করা হয় সিআরপিএফের(CRPF) ৭০ নম্বর ব্যাটালিয়নের উপরে। শনিবার জগন্নাথকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান জগন্নাথের দাদা, শ্যালক-সহ পরিবারের ৩ সদস্য। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানাতে পারেন, চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন জগন্নাথ। কিন্তু সোমবার সন্ধেয় সেনাবাহিনী তাঁদের জানায় জগন্নাথ আর নেই।



অনেক আগেই গত হয়েছেন জগন্নাথের বাবা। পরিবারের সদস্য বলতে রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধা মা প্রমীলা রায়, দাদা, বৌদি, ভাইপো, এক সন্তান ও স্ত্রী। জগন্নাথের মৃত্যু খবর শুনে গোটা পরিবারটাই একপ্রকার পাথর হয়ে গিয়েছে। আজ জগন্নাথের নিথর দেহ আসার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। স্ত্রী চোখে শুধুই শূন্যতা। সন্তান এখনই হয়তো কিছু বুঝে উঠতে পারছে না।



আরও পড়ুন-নজরে পূর্ব মেদিনীপুর, শুধুমাত্র Nandigram-এর নিরাপত্তার দায়িত্বে এক SP পদমর্যাদার অফিসার


বুধবার বাগডোগরা(Bagdogra) বিমানবন্দরে পৌঁছয় শহিদ জগন্নাথের নিথর দেহ। সেখান থেকে তা নিয়ে যাওয়া হয় সিআরপিএফ কাওয়াখালী ক্যাম্পে। বাগডোগরা বিমানবন্দর এবং সিআরপিএফ-এর কাওয়াখালী ক্যাম্পে শহিদকে সম্মান জানান সিআরপিএফ আধিকারিকরা। এরপর নিথর দেহ বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান সিআরপিএফের কর্মী এবং আধিকারিকেরা। পরে জগন্নাথ রায়ের নিথর দেহকে নিয়ে আসা হয় তার ধুপগুড়ির বাড়িতে। সেখানে গান স্যালুটে অভিবাদন জানানো হয় নিথর সেনানিকে।