নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধ্বংসী আমফানের জের। বাজারের অবস্থা ভয়াবহ। আমফানে সবজি খেত তছনছ হয়ে গিয়েছে। ব্যাপক প্রভাব ধানচাষেও। নদিয়ায় ধান থেকে সবজি সবই জলের তলায়। ঝিঙে, করলা, শসা, ভেন্ডি একদিন না তুললেই গেল। ওই যে বলে না, ঝিঙা-কাল্লার বাড়। মাঠ থেকে প্রতিদিন তোলা-প্রতিদিন বিক্রি। আমফানে সব শেষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা, বনগাঁ, বাগদা ও গোপালনগরে মাঠের কলা, বেগুন, ওল, কাকরোল সব শেষ। ঝড়ে গাছ থেকে মাটিতে যেসব ফসল ছিড়ে পড়েছে  সেইসব ফসল বাজারে নিয়ে গেলেও মিলছে না দাম। কার্যত এক প্রকার জলের দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: বিদ্যুৎহীন শহর থেকে জেলা! CESC-র ভূমিকায় রুষ্ট, সংস্থার একাধিপত্য নিয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর


অসময়ের বৃষ্টি, ফনী ও বুলবুল  সামলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন চাষিরা। শসা, লঙ্কা, পুঁই, পালং-সহ  সবজির ভাল দাম থাকায় চাষিরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল "আমফান।" মালদার ছটি ব্লকে ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষও। গাজোল, পুরনো মালদা, চাঁচোল এক নম্বর ব্লকের বহু জমিতে ধান গাছের গোড়ায় জল জমেছে। এর ফলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। 


জমিতে কোমর জল। এর মধ্যেই কিছু ফসল পাওয়ার আশায় পাকা ধান কেটে কলার ভেলায় করে পাড়ে রাখছে কৃষকরা। নদিয়ার বিভিন্ন এলাকার অবস্থা এমনই। সবজির অবস্থাও তথৈবচ। অনেকেই ব্যাঙ্ক অথবা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন। কীভাবে শুধবেন সেই দেনা, চিন্তায় কৃষকরা। 


আরও পড়ুন: আমফান বিধ্বস্ত বারুইপুরে যেতে 'বাধা' দিলীপকে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে একাধিক জখম


এসবের জেরে কলকাতার বাজারে জোগান নেই কাঁচা সবজির। একধাক্কায় জোগান কমায় স্বাভাবিক ভাবেই চড়ছে দাম। অভিযোগ, মিলছে না টাটকা সবজি। যেটুকু মিলছে, তাও দ্বিগুন দামে। বউবাজারের সবজি বিক্রেতারা বলছেন, দাম আরও বাড়বে।


আমফানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড এলাকার পর এলাকা। জের সবজি বাজারেও। দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে সব সবজির দাম। আমফানের আগে যে পটল মিলেছে ২০ টাকা কেজিতে, খিদিরপুর বাজারে সেই পটলই আজ ৬০ টাকা কিলো। তার ওপর এমন চড়া দাম। সবমিলিয়ে নাজেহাল আম বাঙালি।