নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য বিজেপিতে ক্ষোভের পারদ কি আরও খানিকটা চড়ল? গতকাল পোর্ট ট্রাস্টের গেস্টহাউসে বৈঠক করেন দলের বেসুরো নেতারা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে রাজ্যে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur)। এবার রবিবার ঠাকুরনগরের(Thakurnagar) ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু ঠাকুর বৈঠক করেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের নিয়ে। মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের পাশাপাশি ওই বৈঠকে ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চলে ওই বৈঠক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন বেশ কয়েক জন বিজেপি বিধায়ক। তাদের মধ্য়ে ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের কয়েকজন। তারপরই কয়েকজন নেতাদের নিয়ে পোর্ট ট্রাস্টের গেস্টহাউসে বৈঠক এবং রবিবার ফের মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধছে। আজকের ওই বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি শান্তনু ও মতুয়া মহাসংঘের সদস্যরা। তবে হঠাত্ করে হওয়া এই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।



এদিকে, মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের তরফে দাবি করা হয়েছে, বৈঠকে কিছু রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি মতুয়াদের বাত্সরিক যে বৈঠক হয় তা নিয়েই কথা হয়েছে। সুব্রত ঠাকুর(Subrata Thakur) একই দাবি করেন। তবে তিনি বলেন, এদিনের এই বৈঠকে নাগরিকত্ব নিয়ে কথা হয়েছে। কেন এখনো পর্যন্ত সিএএ(CAA) লাগু হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কারণ নাগরিকত্ব আইন লাগু হওয়ার শেষ তারিখ ছিল জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখ। সেই তারিখ পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনো নাগরিকত্ব পায়নি মতুয়ারা। এনিয়ে আগামী দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর(Amit Shah) কাছে দরবার করা হবে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মতুয়ারা তাদের অধিকার আদায় করে নেবে। অন্যদিকে, এ বিষয়ে মমতা ঠাকুর বলেন এটা সম্পূর্ণই নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর কৌশল। নতুন করে আবার কিছু মতুয়াদের ভুল বোঝাবে।


আরও পড়ুন-অভিষেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন কল্যাণ; টুইট মালব্যের, পাল্টা দিলেন কুণাল


ওই বৈঠক নিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, শনিবার ও রবিবারের বৈঠকের বিষয়বস্তু আলাদা। গতকালের বৈঠক ছিল রাজনৈতিক। আজকের বৈঠক মতুয়া মহাসংঘের। দুটো বৈঠকের মধ্যে পার্থক্য অনেক। অন্যদিকে, এনিয়ে দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, শান্তনু ঠাকুর একজন সাংসদ, বিজেপি নেতা। তাঁর ওখানে গিয়ে কেউ যদি বৈঠক করে, চা খায় তাহলে তার মধ্যে কি সব সময় রাজনীতি খোঁজা যায়? দলের ভেতরে যদি কোনও ক্ষোভ থাকে তাহলে তা সাংগঠনিক বিষয়। দল তা মিটিয়ে ফেলবে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)