নিজস্ব প্রতিবেদন: সরষের মধ্যেই ভূত? নাকি ইন্ধন জোগাচ্ছে বাইরের কেউ?  তা খতিয়ে দেখতেই এবার নড়েচড়ে বসলেন মালদা জেলা তৃণমল নেতত্ব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



 ইংরেজবাজার পুরসভার অচলাবস্থা কাটাতে জরুরি বৈঠকের ডাকলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর। বৈঠকে রয়েছেন মালদার পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি। চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে কেন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনলেন দলেরই ১৫ জন কাউন্সিলর, সেই উত্তর খুঁজে পেতেই এই বৈঠক।  


সূত্রের খবর, দুটি পর্যায়ে বৈঠক হবে। প্রথমে ১ থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর ১৫ থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের বৈঠক করবেন।



উল্লেখ্য, ২৯ আসন বিশিষ্ট এই পুরসভাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ২৪ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। তার মধ্যে ১৫ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাব পৌঁছে গিয়েছে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও চেয়ারম্যানের কাছে।


শাসকদলে যোগদানে বাধা! বাইক থেকে নামিয়ে তৃণমূল কর্মীর গলায়, পেটে ক্ষুর হামলা


প্রসঙ্গত, এর আগে এই পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ২ বছর আগে তাঁকেই সরিয়ে চেয়ারম্যান হন নীহাররঞ্জন ঘোষ। সূত্রের খবর, সেবার নীহারপন্থিরাই কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। এবার কৃষ্ণেন্দুপন্থীরা অনাস্থা আনলেন নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই মাসখানেক আগে নীহাররঞ্জন ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর হাতাহাতি হয়।


এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ মালদা লোকসভার ইংরেজবাজার এলাকায় গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র। সেক্ষেত্রে প্রতিবাদী কাউন্সিলররা বিজেপির দিকেও ঝুঁকে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


উল্লেখ্য, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ অনুগামী ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করায় নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। কার্যত দলের অনুশাসন ভাঙার অপরাধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য নেতৃত্ব।