প্রদ্যুৎ দাস: মে দিবসের দিনে এক অন্য নারীর কাহিনি। কথায় আছে যে রাঁধে এবং সে চুলও বাঁধে। এখানে কোনও রাধা অথবা বাঁধার কথা নেই ঠিকই এখানে রয়েছে এক নারীর জীবন যুদ্ধের কথা! সংসার চালানোর যুদ্ধ, বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ। দিনে তিনটি পেশার কাজ করে স্বপ্ন পূরণ করার কাজে এগিয়ে চলেছেন। দেবী দূর্গার মতো সব সামলে, না থেমে এগিয়ে চলার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন এই নারী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kalna: মা ব্যস্ত! নিজের জামা নিজে ধুতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু দেড় বছরের খুদের


প্রায় পাঁচ বছর আগে রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সংসারে এক মেয়ে আর তিনি। কীভাবে চলবে সংসার তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। একদিকে মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করার স্বপ্ন অন্যদিকে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থটুকুও নেই। পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতেই তিনি নিজেই স্বামীর ব্যবসা হাতে তুলে নিলেন। এক সময় শহরে ঘুরে ঘুরে স্বামী পেপার বিলি করতেন সেই দিয়েই চলতো সংসার। কিন্তু স্বামীর অকাল মৃত্যুর কারণে অথৈ জলে পড়ে যায় সংসার।


এখন তিনি ভোর পাঁচটা থেকে দশটা পর্যন্ত শহরেই পেপার বিলি করেন মন্দিরা। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে যান, তারপর সোজা ব্যাংকের রান্নার কাজে। বিকেল বেলায় এসে আরেক কাজে যুক্ত হয়ে যান। এভাবেই চলে তার সারাটা দিন। জলপাইগুড়ি শহরের বেগুনটারি মোড় সংলগ্ন এলাকায় মেয়ে আর শাশুড়িকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন অদম্য এই নারী। এমন যুদ্ধ কিন্তু আরও হাজারটা নারীকে না হেরে যাওয়ার বার্তা দিতে বাধ্য। 


সেই মহিলা মন্দিরা দাস বলেন, 'স্বামীর মৃত্যুর পর পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে কোনও উপায় না পেয়ে স্বামীর সাইকেল নিয়েই পেপারের কাজে নিযুক্ত হয়ে পড়ি। আশা করছি মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে পারব। খুব ভালো লাগে এই কাজ করতে। শহরের অনেকেই আমাকে চেনে আর খুবই ভালোবাসে। আমি এই শহরে একাই মহিলা যিনি  পেপার বিলি করি। আমি তো গর্ববোধ করি। মেয়ে হয়েও এই সমাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারছি। মেয়েরা এখন সব পারে।'



আরও পড়ুন, Malbazar News: বাংলায় আদিবাসীদের প্রথম ধর্মস্থান উদবোধন, নয়া তীর্থক্ষেত্র নিয়ে উচ্ছ্বাস রাজ্যে


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)