Maynaguri: `বৌদি ছেলে-মেয়ে নিয়ে চলে যায়,` বাবার কাছে আসতে বাধা মায়ের, পরিণতি মর্মান্তিক
মাস কয়েক আগে গৌতম রায়ের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে যান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাপেরবাড়ি যাওয়ার পর ছেলে ও মেয়েকে বাবার কাছে আসতে দিতেন না স্ত্রী। বাবার কাছে আসতে চাইলে, ছেলে ও মেয়েকে বাধা দিতেন মা। ছেলে ও মেয়েকে কাছে না পেয়ে অবসাদে আত্মঘাতী হলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ির মালিবাড়িতে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গৌতম রায়। বয়স ৩৮ বছর। ময়নাগুড়ির ব্লকের সাপ্টিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিবাড়ি এলাকায় থাকতেন গৌতম রায়। পরিবার সূত্রে খবর, মাস কয়েক আগে গৌতম রায়ের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে যান। দম্পতির দুই সন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ে। যাওয়ার সময় ছেলে ও মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে যান গৌতম রায়ের স্ত্রী। অভিযোগ, বাপেরবাড়ি যাওয়ার পর থেকেই ছেলে ও মেয়েকে আর তাঁদের বাবার কাছে আসতে দিতেন না তিনি। ছেলে ও মেয়ে বাবার কাছে আসতে চাইলে বাধা দিতেন। এমনই অভিযোগ।
এরপরই বৃহস্পতিবার শোওয়ার ঘরে গৌতম রায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদেই ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। পরিবারের তরফে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মৃতের দাদা উত্তম রায় বলেন, "বৌদি ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। এই নিয়ে দাদা-বৌদির মধ্যে অশান্তি ছিল। এরপরই আজকে দাদাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।"