TET: টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে `প্রশিক্ষিত` পোস্টার হাতে মাংস বিক্রেতা বিজেপি কর্মী!
সুদাম গিরির হাতের পোস্টারে লেখা রয়েছে, `আমরা টেট পাশ। প্রশিক্ষিত। তবুও আমরা বঞ্চিত।` একজন মাংস বিক্রেতা এহেন পোস্টার কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এর পিছনে সাফাইও দিয়েছেন সুদাম গিরি।
দেবব্রত ঘোষ: টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে শিবপুরের মাংস বিক্রেতা বিজেপি কর্মী! পোস্টার হাতে ওই বিজেপি কর্মীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আর ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জানা গিয়েছে, হাওড়ার শিবপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে উপস্থিত হন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন পেশায় মাংস বিক্রেতা সুদাম গিরি নামে ওই যুবকও। তিনি যে শুধু ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তাই নয়, রীতিমতো হাতে পোস্টার নিয়ে ধরনা মঞ্চে আন্দোলনকারীদের পাশে বসে পড়েন।
সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'আমরা টেট পাশ। প্রশিক্ষিত। তবুও আমরা বঞ্চিত।' একজন মাংস বিক্রেতা এহেন পোস্টার হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রসঙ্গত তিনি তো শুধু মাংস বিক্রেতা-ই নন। তার পাশাপাশি শিবপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একজন বিজেপি কর্মীও বটে। সুদাম গিরি নামে বছর চল্লিশের ওই যুবকের বাড়ি ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ চ্যাটার্জি রোডে। বাড়ির কাছেই কাশীনাথ চ্যাটার্জি লেনে রাস্তার উপর তাঁর একটি মুরগির মাংসের দোকান রয়েছে। মুরগি মাংস বিক্রি-ই তাঁর পেশা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তিনি কেন চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে পোস্টার হাতে বসেছিলেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে সুদাম গিরি নামে ওই যুবক সাফাই দেন, স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিজয়া দশমীর দিন কলকাতায় টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে যান তিনি। তাঁদের মিষ্টি বিতরণ করতে ও শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মী মাংস বিক্রেতা সুদাম গিরির কথায়, তাঁরা যখন দশমীর দিন ধরনা মঞ্চে যান, তখন কয়েকজন আন্দোলনকারী তাঁদের পাশে থাকার অনুরোধ করেন। সেই কারণেই একটি পোস্টার নিয়ে তিনিও আন্দোলনকারীদের পাশে বসেন। আর তখনই কেউ বা কারা তাঁর ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন। প্রসঙ্গত, ৫৭৫ দিনে পড়ল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন।
আরও পড়ুন, Hooghly: ধর্ষণ হয়নি, ধৃত একজনের সঙ্গে পূর্ব সম্পর্ক! জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
সুদাম গিরি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি কোনওদিন টেট পরীক্ষা দেননি। পাশাপাশি, তাঁর আরও দাবি, তিনি বিজেপি কর্মী ঠিক-ই, সেদিন তিনি দলের তরফে ধরনা মঞ্চে যাননি। এলাকার বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি, পোস্টারে কী লেখা ছিল, তা তিনি দেখেননি। এই প্রসঙ্গে সেদিন ধরনা মঞ্চে যাওয়া আরও এক বিজেপি কর্মী পবিত্র চক্রবর্তীর বক্তব্য, এই ঘটনাটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এর সাথে সুদামের চাকরির দাবির কোনও সম্পর্ক নেই।