ওয়েব ডেস্ক: বন্ধুর বাড়িতে পিকনিক করার সময় ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের। কোন্নগরের বারোয়ারিতলার ঘটনা। বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের। ৬ বন্ধুকে গ্রেফতার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিস।কোন্নগরের জয়ন্ত কর্মকারের জীবনেও কি সঞ্জয় কুণ্ডু এমনই বন্ধুবেশী বিপদ? মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ জয়ন্তর রহস্যমৃত্যুতে এই অভিযোগই তুলেছে জয়ন্তর পরিবার। শনিবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? কোন্নগরের সি ব্লকে বাড়ি পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ জয়ন্ত কর্মকারের। পাশের পাড়া বারোয়ারিতলায় বাড়ি তাঁরই বন্ধু সঞ্জয় কুণ্ডুর। শনিবার রাতে সঞ্জয়ের বাড়ির ছাদে বসে পিকনিকের আসর। জয়ন্ত ছাড়াও সেখানে ছিলেন আরও ৫ বন্ধু। খাওয়াদাওয়া ছাড়াও তাঁরা মদ্যপান করে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ জয়ন্তকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জয়ন্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।খবর পেয়ে ছুটে আসে জয়ন্তর পরিবার। ৬ বন্ধুর বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সঞ্জয় কুণ্ডু ছাড়াও গণেশ মাহাতো, অলোক পৈত, ছোটকা বেরা, নবীন পাইন ও ধ্যানেশ সাহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সঞ্জয় ছাড়া বাকিদের তাঁরা চেনেন না বলে দাবি জয়ন্তর পরিবারের।জয়ন্তর পরিবারের অভিযোগ, তাঁর কাছে ২টো মোবাইল ছিল। জয়ন্ত যদি পড়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর মোবাইল দুটি ভেঙে যাওয়ার কথা। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌছে মোবাইল দুটি জয়ন্তর বন্ধুদের হাতে তাঁরা দেখতে পান বলে দাবি জয়ন্তর পরিবারের। তাঁর পড়ে যাওয়ার খবরও বন্ধুরা দেয়নি বলে অভিযোগ। বরং সঞ্জয়কে ফোন করাতে তারা জোর দিয়ে বলতে থাকে, জয়ন্তর মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী নয়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বিছিন্ন হিংসা-সোনাদা থানায় আগুন, শোকমিছিল, ছুটির দিনে এটাই পাহাড়ের ছবি


প্রিজন ভ্যান থেকে মুখ বাড়িয়ে সঞ্জয় অবশ্য দাবি করেছেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে জয়ন্তর।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিস। সঞ্জয়কে ওষুধের হোলসেল ডিস্ট্রিবিউশনের কাজের ব্যবস্থা করে দেয় জয়ন্তই। এই কাজের সূত্রে তাঁদের মধ্যে কোনওরকম শত্রুতা তৈরি হয়েছিল কি না বা পিছনে কোনও মহিলার উপস্থিতি রয়েছে কি না, সেই দিকগুলিই খতিয়ে দেখছে পুলিস।


আরও পড়ুন  উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির বনধ ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি