Midday Meal Dining Hall: আর মেঝেয় বসে খাওয়া নয়, এবার আনকোরা নতুন ডাইনিং হল! খুশির হাওয়া স্কুলে...
Mid Day Meal Dining Hall in Howrah: স্কুলের ছাদের উপরেই টিনের ছাউনি করে এই ডাইনিং হলের ব্যবস্থা করা হয়েছে । একসঙ্গে ৭০ জন পড়ুয়া বসে খেতে পারবে সেখানে।
দেবব্রত ঘোষ: স্কুলের মেঝেতে বসে মিড ডে মিল খাওয়ার দিন শেষ। এবার ডাইনিং হলে চেয়ার-টেবিলে বসে দুপুরের খাবার খাবে পড়ুয়ারা। এই ব্যবস্থাই চালু হল ধূলাগড়ী নর্থ প্রাইমারি স্কুলে। খুশি পড়ুয়ারা, খুশি শিক্ষকেরাও।
এ রাজ্যে অনেক স্কুলই রয়েছে, যেখানে জায়গার অভাবে ক্লাসঘরে বা বারান্দায় বা স্কুল-সংলগ্ন কোনও খোলা জায়গায় বসে মিড ডে মিল খেতে হয় কচিকাঁচাদের। পড়ার জায়গা খাবার ফেলে নোংরা করে ছোটরা। এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এবার আলাদা খাওয়ার ঘরের পরিকল্পনা করেন ধূলাগড় উত্তর প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ডাইনিং হলের উদ্বোধন করেন জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ। স্কুলের ছাদের উপরেই টিনের ছাউনি করে এই ডাইনিং হলের ব্যবস্থা করা হয়েছে । একসঙ্গে ৭০ জন পড়ুয়া বসে খেতে পারবে সেখানে।
প্রসঙ্গত, রান্নার পরে ফেলে দেওয়া আনাজখোসা ইত্যাদি জিনিসপত্র দিয়ে জৈব সার তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে এই স্কুলের। সেই জৈব সার দিয়ে সবজি চাষেরও পরিকল্পনা আছে তাদের। মিড ডে মিলে সেই সবজিই খাওয়ানো হবে। বিষয়টা শুরুও হয়ে গিয়েছে। আপাতত ছাদের উপরে টবে বেগুন, লঙ্কা, কপি ইত্যাদির চারা বসানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই স্কুলে মোট ২১৪ জন পড়ুয়া। এরকম স্কুলগুলিতেই সর্বশিক্ষা মিশন থেকে আলাদা খাবার ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। জেলার আরও কয়েকটি স্কুলে ইতিমধ্যেই এরকম ডাইনিং হল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ধূলাগড়ী নর্থ প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থ বসাক বলেন, পড়ুয়ারা ক্লাসরুমের ভিতরে বেঞ্চে বসে মিড ডে মিল খাওয়ার সময়ে উচ্ছিষ্ট ফেলে। দ্রুত তা পরিষ্কার না করা গেলে পরের ক্লাসগুলি করার সময়ে সমস্যা হয়। এবার এই ডাইনিং হল তৈরি হওয়ায় সেই সমস্যা আর হবে না। ছাত্রছাত্রীরাও একটু ভালভাবে খেতে পারবে এবার থেকে।