নিজস্ব প্রতিবেদন : পড়াশোনা সেইভাবে শেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু সচেতনতায় সমাজের অনেক গণ্যমান্য মানুষকে নতুন দিশা দেখালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লকের পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বসন্তপুর গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক জুলফিকার জামাদার। মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরে নিজের বাড়িতে না থেকে গোয়ালঘরকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার বানিয়ে সেখানেই ১০ দিন ধরে থাকছেন জুলফিকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই হোম কোয়ারান্টিনে থাকাকালীনই বয়ে গেছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেই ঝড়ে  উড়ে গিয়েছে তাঁর গোয়ালঘরের ছাদ। লন্ডভন্ড সবকিছু। তবুও জুলফিকার অমান্য করেননি সরকারি নির্দেশিকা। যতটুকু সারানো সম্ভব হয়েছে, তা নিজেই সারিয়ে নিয়েছেন। তারপর এই গোয়ালঘরেই পালন করলেন খুশির ঈদ। কথায় আছে, "ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়"। পরিবারের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গোয়ালঘরের মধ্যেই ঈদ উৎসব পালন করলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিক। 


তাঁর উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাতে এদিন গ্রামবাসীরাও ওই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি যান। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন তাঁরাও। জুলফিকার জামাদার লকডাউনের ফলে আটকে পড়েছিলেন মহারাষ্ট্রে। এরপর অনাহারেই দিন কাটছিল। তারপর সরকারি সাহায্যে ১০ দিন আগে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।


এখন বাড়িতে তো ঘর বলতে মাত্র একটি ঘর। তাই নিজের বাড়ির গোয়ালঘরকেই কোয়ারেন্টিন সেন্টার বানিয়ে নিয়েছেন জুলফিকার। একদিকে করোনা আর অন্যদিকে আমফান, উভয়কেই শক্ত হাতে মোকাবিলা করে গোয়ালঘরে খুশির ঈদ পালন করলেন তিনি। আর তার সাথেই সমাজকে সচেতনতার বড় বার্তা দিলেন জুলফিকার জামাদার।


তথ্য সংগ্রহ : নকিবউদ্দিন গাজী


আরও পড়ুন, রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত আরও ১৪৯ জন, মৃত বেড়ে ২০৬, দেখুন আপনার জেলার করোনা পরিস্থিতি