নিজস্ব প্রতিবেদন- সারদা, নারদার দুর্নীতির কালো দাগ গা থেকে মুছতে তৃণমূলের কিছু নেতা বিজেপিতে যাচ্ছে। এমনই ছিল TMC-র দাবি। কিন্তু এবার? হাওড়ার দুই নেতা লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ক্ষেত্রে তো এমন দাবি খাটে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত এই দুই তৃণমূল নেতা নিজেদের ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন। যদিও লক্ষ্মী বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কেউই এখনও BJP-তে যাচ্ছেন বলে কোনও ঘোষণা করেননি। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা তাতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা লক্ষ্মীরতন শুক্লার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনাও তো একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বনমন্ত্রীর পদ থেকে শুক্রবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ইস্তফার পর রাজ্য-রাজ্যনীতিতে ফের নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাস দেড়েক ধরেই বেসুরো ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ জানুয়ারি Facebook Live-এ তাঁর একের পর এক বিস্ফোরণের পর জল্পনা বাড়ছিল। শেষমেশ আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব। দীর্ঘদিন ধরে তিনি TMC-র সঙ্গে যুক্ত। তাই মন্ত্রীত্ব ছাড়ার মুহূর্তে আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। বলতে থাকেন, ''আমার মনে অনেক চাপা ক্ষোভ ছিল। অনেক অভিমান ছিল। সেগুলো একদিনে হয়নি। অনেকেই জানেন না, আমি আড়াই বছর আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতাম। মানুষের মধ্যে কাজের মাধ্যমে যদি কেউ ছাপ ফেলে যায় সেটাই বড় কথা। কেউ চিরকাল একই দফতরের মন্ত্রী থাকে না। আমিও থাকব বলে আশা করিনি। তবে আমার মন্ত্রীত্ব বদল করা হল কিছু না জানিয়ে। এই ব্যাপারে আমি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অন্তত সতীর্থ হিসাবে সৌজন্য আশা করেছিলাম। আমাকে অন্তত জানানো হবে দফতর বদলের কথা, এটা আশা করেছিলাম। আমি টিভিতে দেখে জানতে পেরেছিলাম, সেচ থেকে সরিয়ে আমাকে বনমন্ত্রী করা হয়েছে।''


আরও পড়ুন-  ৫ ডিসেম্বর থেকে বেসুরো, ২২ জানুয়ারি ইস্তফা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেড় মাসের 'বিক্ষোভ-পর্ব'


মন্ত্রী হিসাবে মানুষের কাজ করতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁকে মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই তৃণমূল সুপ্রিমোকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাজীব। বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমাকে দীর্ঘদিন মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। কী কাজ করেছি মানুষ বিচার করবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমার জীবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। ওঁর কাছে আমার আজীবন কৃতজ্ঞতা।''