নিজস্ব প্রতিবেদন : গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবসে নয়া মাত্রা পেল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মাকে (Manoj Verma) তীব্র ভর্ৎসনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। যার পাল্টা জবাব দিলেন মন্ত্রী সুব্রত চট্টোপাধ্য়ায় (Subrata Mukherjee)। তাঁর স্পষ্ট কথা, "শিশুসুলভ আচরণ (childish attitude)। কিছু বলার নেই।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন গান্ধীঘাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মনোজ ভার্মার উদ্দেশে ক্ষুব্ধ রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায়, "প্রথম সারিতে বসে খবরের কাগজ পড়ছেন? এটা কী ধরনের আচরণ? আপনারা থাকেন কোথায়? লজ্জা হওয়া উচিত। উর্দি পরে আপনি যদি এটা করেন তাহলে অন্যরা আপনাকে দেখে কী শিখবে, কী করবে?" এখানেই শেষ নয়। এরপর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তোপ দাগেন রাজ্যপাল ধনকড়। বলেন, "আজ গান্ধীজির প্র‍য়াণ দিবস। এই দিন অহিংসার দিন। সেখানে রাজ্যজুড়ে হিংসা চলছে। রাজ্যের কোথাও আইন বলে কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি। পুলিস প্রশাসন চুপ করে আছে।"


এই প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মন্ত্রী সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, " কী বলেছেন জানি না। আমি পিছনে ছিলাম। আমরা সরকারের তরফে সৌজন্য এবং নিয়ম মেনে চলছি। উনি আমাকে অসম্মান করলে, আমি চারগুণ অসম্মান করব।" রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরেক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও।  তাঁর সাফ দাবি, "এমন কিছুই ঘটেনি। পুরোটাই ওনার পূর্ব পরিকল্পিত। তীব্র নিন্দা করছি ওনার ব্যবহারের।"


আরও পড়ুন, পুরভোটের রণ কৌশল স্থির করতে ২০ জনের ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করল রাজ্য বিজেপি


আরও পড়ুন, জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিল্লি থেকে এলেও বঙ্গ বিজেপির কাছে ‘ব্রাত্য’ রইলেন মুকুল


বিদ্যুৎমন্ত্রীর কথায়, "গান্ধীঘাটে আমি ও স্বরাষ্ট্রসচিব ওনার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। অপেক্ষা করছিলাম। উনি গাড়ি থেকে নামার পর আমি ও স্বরাষ্ট্রসচিব হাত জোড় করে নমস্কার করলাম। কিন্তু উনি কোনও প্রতি নমস্কার করলেন না। কোনও কথাও বললেন না। সোজা হেঁটে চলে গেলেন। তারপর বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে লাগাতার পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। যা আজকে গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবসের সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়। এটা প্রি প্ল্যানড।"