নিজস্ব প্রতিবেদন : এক নাবালিকা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা অভিযোগ উঠল এলাকার ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গেলে ব্যাপক মারধর করা হয় ছাত্রীর বাবা মাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচকের নাজিরপুর অঞ্চলের লক্ষ্মীকোলেতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ পাশের পাড়ায় একটি বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় পাড়ার চার যুবক সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর পথ আটকায় এবং তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। কোনওরকমে চার যুবকের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে দৌড়ে বাড়িতে পালাতে সক্ষম হয় ওই নাবালিকা ছাত্রী। বাড়ি ফিরে সমস্ত ঘটনা বাবা মাকে জানায়। অভিযোগ, এরপরই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার অভিযুক্তদের কাছে গিয়ে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গেলে ওই চার যুবক নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা ও মাকেও ব্যাপক মারধর করে। শুধু মারধর করে ক্ষান্ত থাকেনি অভিযুক্তরা। থানায় অভিযোগ জানালে তাঁদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা মায়ের। 


অভিযোগ, প্রতিবাদ করতে গেলে নির্যাতিতার বাবা মাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় অভিযুক্তরা । এরপর  পাড়াপড়শিরা অভিযুক্ত ওই চার যুবকের হাত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নির্যাতিতার বাবা-মাকে উদ্ধার করে। মারধরে গুরুতর আহত নির্যাতিতার বাবা মাকে তখনই মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আঘাত বেশ গুরুতর।


শুক্রবার সকালে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ জানিয়ে চার অভিযুক্ত যুবক রাম মাঝি সরকার, শ্যাম মাঝি সরকার, সুকুমার মাঝি সরকার ও বাবলু মন্ডলের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে মানিকচক থানার পুলিস। অভিযুক্ত চার যুবকের বিরুদ্ধেই পুলিসের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেয় এলাকার মানুষ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলাকা ছেড়ে তখনই চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি মানিকচক থানার পুলিস।


আরও পড়ুন, করোনা সন্দেহে একের পর এক হাসপাতালে 'রেফার'! চিকিৎসা মেলেনি, তীব্র শ্বাসকষ্টে রাস্তাতেই মৃত্যু রোগীর