Hooghly: ধর্ষণ হয়নি, ধৃত একজনের সঙ্গে পূর্ব সম্পর্ক! জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিসের বক্তব্য, ওই নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। তার প্রমাণ আছে। তাতে বাধা দেয় নাবালিকা। আর তখনই ধ্বস্তাধস্তি বাধে। ধস্তাধস্তির সময়ই পুকুরে পড়ে যায় নাবালিকা। ডুবে মৃত্যু হয় তার।
বিধান সরকার: জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকা খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের উল্লেখ, ধর্ষণের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ওই নাবালিকাকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার যে চেষ্টা করা হয়েছে, তার চিহ্ন বা প্রমাণ মিলেছে বলে বলা হয়েছে রিপোর্টে। অন্যদিকে জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় হরিপাল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সোমবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়।
এখন এই ধৃত ৪ জনের একজনের সঙ্গে নাবালিকার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। দুজনের মধ্যে 'সম্পর্ক' ছিল বলে দাবি করেছেন হুগলির গ্রামীণ পুলিস সুপার। সাংবাদিক বৈঠক করে গ্রামীণ পুলিস সুপার জানান, 'একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। ঘটনার দিন, দশমীর রাতে ছেলেটি ওই নাবালিকাকে ডাকে। তারপরই নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। তাতে বাধা দেয় নাবালিকা। তখনই ধ্বস্তাধস্তিতে সেখানে পুকুরে পড়ে যায় নাবালিকা। ডুবে মৃত্যু হয় তার। যে জায়গায় সে পড়ে গিয়েছিল, সেখান থেকেই তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তে ওই নাবালিকার গোপনাঙ্গে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন মেলেনি।'
ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। রুজু করা হয়েছে পকসো আইনে মামলাও। ধৃতদের ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই নাবালক। প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্ট এলাকায়। এরপর দুদিন বাদে শনিবার সকালে স্থানীয় একটি জলাশয়ে ওই নাবালিকার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। ঝিলের পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায় এক জোড়া জুতো। এই ঘটনায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ করে পরিবার। এমনকি পুলিস দেহ তুলতে এলে বাধাও দেয় উত্তেজিত জনতা।
আরও পড়ুন, Midnapur: বিয়ের ঠিক হওয়াতেই প্রাণে মারার চেষ্টা! চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হল পিংলার তরুণীকে
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বের হয়েছিল ওই নাবালিকা। ভাই আর বোন বাড়ি ফিরে এলেও, ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা ওই নাবালিকার খোঁজ করতে থানায় গেলেও পুলিস কোনও সহযোগিতা করেনি। এরপরই শনিবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্ট এলাকায় একটি ঝিলে নাবালিকার নিথর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তারপরই পোশাক দেখে পরিবারের লোকেরা নাবালিকার দেহ শনাক্ত করেন। এরপরই ঘটনাস্থলে আসে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিস।