নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকৃত যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই নেই নাবালিকার! ধর্ষণে অভিযুক্তকে গণধোলাই দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রেয়াত করা হল না পুলিসকর্মীদেরও। চলল ইট বৃষ্টি, মাথা ফাটল ASI-র। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম নজরুল ইসলাম ওরফে ভোলা। বাড়ি, হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডিপুর গ্রামে। চালের ব্যবসা করে সে। তবে ব্যবসাটি বেআইনি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রেশন দোকান থেকে যে চাল দেওয়া হয়, বিভিন্ন জায়গায় সস্তায় সেই চাল কিনে নেয় নজরুল। পরে সুযোগ বুঝে চড়া দাম বিক্রি করে দেয়। শুক্রবার বিকেলেও গ্রামেরই একটি বাড়িতে চাল কিনতে গিয়েছিল ওই প্রৌঢ়।


আরও পড়ুন: Bankura: E-wallet জালিয়াতি কাণ্ডে বড় সাফল্য, পুকুর থেকে উদ্ধার প্রচুর মোবাইল-সিম


তারপর? নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, চাল নেওয়ার পর নজরুল বলে, গোডাউনে নিয়ে গিয়ে মেপে দেখার পর পয়সা দেবে। সেকারণেই  ন'বছরের মেয়ে ও তার ভাগ্নিকে নিয়ে চলেও যায়। কিন্তু ভাগ্নিকে বাইরে দাঁড় করিয়ে করা হয় এবং গোডাউনে ভিতরে নিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় অভিযোগ। শেষপর্যন্ত নির্যাতিতার হাতে চালের দাম বাবদ সাড়ে তিনশো টাকা পালিয়ে যায় অভিযুক্ত! রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্য গোটা  ঘটনা জানায় ওই কিশোরী। প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। 


আরও পড়ুন: Digha-র সমুদ্রের রঙ বদল! কাদা মাখা কালো জলে ভরল সৈকত


এদিকে ততক্ষণে ক্ষোভে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। প্রৌঢ়ের 'কীর্তি'তে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তকে নজরুল ইসলামকে ধরে এনে শুরু হয় গণপিটুনি। খবর পেয়ে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তখন পুলিসকর্মীদের লক্ষ্য ইট ছুঁড়তে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, এলাকায় RAF নামাতে হয়। কোনওরকমে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিস।