নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত। এদিকে জীবন সংশয়ে ভুগছেন গণধর্ষণের শিকার নির্যাতিতা। তিন বছর আগে হওয়া ধর্ষণের ফলে কন্যাসন্তানের জন্মও দিয়েছেন তিনি। সামাজিকভাবে কোণঠাসা। কিন্তু বিচার অধরা। বরং অভিযোগকারিণী ও তাঁর দুই ভাইকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। বারংবার পূর্বের অভিযোগ তুলে নেওয়ারও হুমকিও আসছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি মালদহের কাউয়ামারি গ্রামের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়ার দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজোরিয়া। যদিও নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের দাবি, থানার বাবুদের সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগাযোগ রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসই অভিযুক্তদের মদত জোগাচ্ছে বলে তাঁর দাবি। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে স্কুলে পড়াকালীন কাউয়ামারি গ্রামের ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী সাইদুর রহমান, তাহির আলি, তোরাব আলি। সেই সময় নির্যাতিতা ওই যুবতী নাবালিকা ছিলেন। এই ঘটনার পর অভিযোগের ভিত্তিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস তিনজনকে গ্রেফতারও করে। পরবর্তীতে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।  পরিবারের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। মাঝখানে অভিযুক্তরা কিছুদিনের জন্য জেল খেটেছে মাত্র। 


আরও পড়ুন, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে বিষ খেয়ে প্রেমিকার মাকে ভালোবাসার 'পরীক্ষা' দিলেন প্রেমিক!


অভিযোগ, ধর্ষকরা জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আর জেল থেকে বেরিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে নির্যাতিতার পরিবারকে। পরিবার সূত্রে খবর, চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি নির্যাতিতা ওই যুবতীর পরিবার অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে ফের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। উল্টে ২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তরাই নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতিতা ওই যুবতীর দুই ভাই আবদুল মালেক এবং সিরাজুল হককে গ্রেফতারও করে পুলিস। তাই ফের পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে অসহায় পরিবার, পুরো ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিসকে। পাশাপাশি ওই যুবতীর অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।