নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। রবিবার সন্ধেয় থেকেই  ইসলামপুরের পুলিস সুপার সচিন মক্কারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী রাতভর তল্লাশি অভিযান চালায়। এখন পর্যন্ত ১৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। চাপা উত্তেজনা এবং উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশাল পুলিস বাহিনী। জেলার পুলিস সুপার নিজেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। রবিবার চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যুকে ঘিরে পুলিস জনতার খণ্ডযুদ্ধে  সরকারি বাস ও পুলিসের গাড়ি-সহ ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি হয়ে উঠেছিল অগ্নিগর্ভ । 


এদিকে বিষক্রিয়াতেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুরের পুলিস সুপার। রিপোর্টে কিশোরীর ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই বলে জানা গিয়েছে। তবে বিষক্রিয়াতে কীভাবে কিশোরীর মৃত্যু হল তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিস। নিজেও বিষ খেতে পারে কিংবা কেউ বিষ খাওয়াতে পারে সবদিক খোলা রেখে তদন্ত করছে প্রশাসন। 


ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সোমবার সকাল থেকেই চোপড়া পুরো থমথমে। সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিস। এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিসের টহল। এদিকে ঘটনাস্থলে হাজির রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, “রবিবার দেরি করে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। সোমবার সকালেই পুলিস মৃত কিশোরীর আত্মীয়দের  মাধ্যমে দেহ সৎকাজ করার  পরিকল্পনা করেছিল। সেই পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে মৃতের পরিবার।”  


সোমবার ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিসের মর্গ থেকে কিশোরীর মৃতদেহ চোপড়ার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল । এই নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হয় মৃতের পরিবার, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে পুলিসের। পুলিসের দাবি চোপড়া অশান্ত । পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই আবহে কিশোরীর মৃতদেহ সেখানে নিয়ে গেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু দুপক্ষের বাদানুবাদ চলে।