নিজস্ব প্রতিবেদন : তিন দিন পর অবশেষে মগরার নিখোঁজ যুবকের খোঁজ মিলল। রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল রাজেশ সাউ নামে ওই যুবক। এদিন সকালে গঙ্গাপাড়ে ভেসে উঠল ওই যুবকের নিথর দেহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার রাতে হুগলীর মগরার চন্দ্রহাটির বাসিন্দা রাজেশ সাউ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন যুবক জানান, স্থানীয় শর্মা ঘাটে সকালে শৌচকর্ম করতে গিয়ে সেখানে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সেই রক্তের দাগ গঙ্গা পর্যন্ত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় রাজেশের মানি পার্সও।


আরও পড়ুন, সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া সুরজিতের, অন্তরার মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়!


প্রাথমিক এই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস অনুমান করে যে, গঙ্গা ঘাটেই খুন করা হয়েছে রাজেশকে অথবা অন্য কোথাও খুন করে রাজেশের দেহ এনে ফেলা হয়েছে গঙ্গায়।  সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ রাজেশ সাউয়ের খোঁজে গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ। কিন্তু গত দুদিনে দেহ উদ্ধার হয়নি। এদিন সকালে উদ্ধার হল রাজেশের দেহ।


আরও পড়ুন, রাজ্যে মোদীর সফরসূচিতে ফের বদল, বাদ গেল ২টি সভা


খুনের ঘটনায় নিহত রাজেশের মা ললিতা দেবী স্থানীয় যুবক অনিল তিওয়ারির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন, রবিবার সারাদিন অনিলের সঙ্গে ছিল রাজেশ। বছর পাঁচেক আগে একটি খুনের মামলায় নাম জড়ায় রাজেশ ও তার ভাই মুকেশের। সেই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ মুকেশ। আর রাজেশ ফরিদাবাদে চলে যায়।


আরও পড়ুন, বিজেপিতে আসতে চেয়ে যোগাযোগ করছেন অনেক তৃণমূল নেতা: মুকুল রায়


মামলার শুনানির দিন পড়লে চন্দ্রহাটিতে আসত সে। সেই কারণেই এবার চন্দ্রহাটি এসেছিল রাজেশ। রাজেশের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবারই অনিল তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে মগড়া থানার পুলিশ। ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।