নিজস্ব প্রতিবেদন : চাদর নিয়ে শাশুড়ি-বউমার চুলোচুলি। ঘরে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল শাশুড়ি-বউমার সেই মারপিটের দৃশ্য। শেষপর্যন্ত বউমার শক্তির কাছে হার মানতে দেখা যায় শাশুড়িকে। সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া পাড়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, বাঁশঝাড়ে মিলল যুবকের মুণ্ডুহীন দেহ, খুলি মিলল দূরে ধানক্ষেতে


জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে দীপঙ্কর ঘোষ (৩২)-এর সাথে ফুলিয়া চাঁপাতলা পাড়ার রিঙ্কু ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস ঘুরতে না ঘুরতেই শাশুড়ি শঙ্করী ঘোষ, স্বামী দীপঙ্কর ঘোষ ও দেওর শুভঙ্কর ঘোষের নামে বধূ নির্যাতনের মামলা করে রিঙ্কু ঘোষ।  ২০১৩ সালে শঙ্করী দেবীর স্বামীর মৃত্যু হয়। বিয়ের ৬ বছরের মাথায় ২০১৮-তে লিভারের অসুখে শঙ্করী ঘোষের বড় ছেলে তথা রিঙ্কু ঘোষের স্বামী দীপঙ্কর ঘোষেরও মৃত্যু হয়। দম্পতির ৫ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।  


আরও পড়ুন, মাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন ছেলের


অভিযোগ, স্বামী দীপঙ্কর মারা যাওয়ার পর থেকেই সম্পত্তি ভাগের দাবিতে শাশুড়ির উপর অত্যাচার শুরু করে বউমা রিঙ্কু ঘোষ। প্রায়ই মারধর করত। নানাভাবে শারীরিক নিগ্রহ করত। অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান ছোট ছেলে শুভঙ্কর।  সেই সিসিটিভি ফুটেজে-ই ধরা পড়ে শাশুড়ি, বউমার চুলোচুলির ছবি।


আরও পড়ুন,কার্টুনের নেশায় বুঁদ মেয়ে, মা বকাবকি করে, অভিমানে আত্মঘাতী কিশোরী


এই ঘটনায় শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা বৃদ্ধা। কিন্তু অভিযোগ, পুলিস কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। খোঁজ নিতে বাড়িতে পর্যন্ত আসেনি। শেষপর্যন্ত প্রাণভয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শঙ্করী ঘোষ। যদিও, বউমা রিঙ্কু ঘোষের পাল্টা দাবি, চাদর নিয়ে অশান্তি হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার সঙ্গে সম্পত্তির কোনও বিষয় নেই। তাঁকে ফাঁসাতেই সিসিটিভি লাগিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। চাদরটা তিনি তাঁর টাকায় কিনেছিলেন। কিন্তু সেই চাদরটা তাঁকে দিতে রাজি হচ্ছিল না শাশুড়ি শঙ্করী ঘোষ।